প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা

আগের সংবাদ

গুচ্ছের ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়নি : অনিশ্চয়তায় ২১ হাজার শিক্ষার্থী

পরের সংবাদ

ভোমরা স্থলবন্দর : ১০৭ কোটি টাকার রসুন আমদানি ছয় মাসে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ১০০ কোটি টাকার বেশি রসুন আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত এসব রসুন ঢাকা-চট্টোগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে গত অর্থবছরের এ সময় ভারতে রপ্তানি বন্ধ রাখায় আমদানি হয়নি মসলাজাত পণ্যটি।
অন্যদিকে জেলার মসলা বাজারগুলোয় আমদানিকৃত রসুনের দাম বেড়েছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ভারতীয় রসুন ১৫-২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চায়না রসুন কেজিতে ২৫-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়তি।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) এ বন্দর দিয়ে রসুন আমদানি হয়েছে ৭ হাজার ২৭২ টন। যার আমদানি মূল্য ১০৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। তবে গত অর্থবছর এ সময় পণ্যটি আমদানি হয়নি।
এ ব্যাপারে ভোমরা স্থলবন্দরের অন্যতম মসলাপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, তার প্রতিষ্ঠান সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের মসলাপণ্য আমদানি করে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে রসুন, শুকনা মরিচ, শুকনা হলুদ ও জিরা। তবে দেশীয় বাজারে চাহিদা থাকায় রসুন আমদানি কিছুটা বেড়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ৩০-৩৫ ট্রাক রসুন আমদানি হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠানে। তবে ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত কোনো রসুন আমদানি হয়নি। কারণ ভারত সরকার ওই সময় পণ্যটির রপ্তানি বন্ধ রাখে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের ডেপুটি সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান জানান- পেঁয়াজ ছাড়া সব ধরনের মসলাপণ্যে সরকারের রাজস্ব আসে উল্লেখযোগ্য হারে। ছয় মাসে রসুন আমদানিতে ৫ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে। এদিকে সাতক্ষীরার সবচেয়ে বৃহৎ মসলা আড়ত সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের আড়ত মেসার্স জুবোয়ের এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জহুরুল হক জানান, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানিকৃত ভারতীয় রসুনের দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা এবং চীন থেকে আমদানিকৃত রসুনের দাম কেজিতে ২৫-৩০ পর্যন্ত বেড়েছে। ১৫ দিন আগেও আমদানিকৃত ভারতীয় রসুন ৬০-৬৫ টাকা বিক্রি হলেও তা এখন ৭৫-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে চায়না রসুন ১৩০-১৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ১১০-১১৫ টাকা। চাহিদা অনুযায়ী বাজারে সরবরাহ কম থাকায় মূলত দাম বেড়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি মৌমুমে জেলায় ৩ হাজার ৫০০ টন রসুন উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। সাতক্ষীরা সদরসহ সাত উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে এটি চাষ হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়