সোনালী ব্যাংক (ইউকে) লিমিটেড : বড় মুনাফা এনেছিলেন আতাউর রহমান প্রধান

আগের সংবাদ

ভরা মৌসুমেও চালে অস্থিরতা : খুচরা বাজারে মোটা চাল ৫০ টাকা, পিছিয়ে নেই সরু চালও > কুষ্টিয়া ও নওগাঁয় বাড়ছে দাম

পরের সংবাদ

বাঙালির ঐক্যের প্রতীক নজরুল

প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে আমাদের সনাতনী ধারণা তিনি অত্যন্ত দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারের সন্তান। শিশু বয়সে পিতৃহীন অনাথ-দুঃখী শিশুটির আদি নাম ছাপিয়ে দুখু মিয়া নামকরণের পেছনে পারিবারিক অর্থনৈতিক দরিদ্রতাও যুক্ত। জীবিকার জন্য তাকে রুটির দোকানের কর্মচারী হতে হয়েছে। পূর্ব রেলওয়ের গার্ডের ভৃত্য হতে হয়েছে। লেটোর দলের গান রচনা ও সুরারোপ করাও ছিল জীবিকার তাগিদে। এসব ঘটনা সত্য। তবে এর পেছনের ঘটনা কিন্তু ভিন্ন। নজরুলের জন্ম ২৪ মে ১৮৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে। তার পরিবার কিন্তু দারিদ্র্যপীড়িত ছিল না। অঢেল ধন-সম্পদের অধিকারী না হলেও, সচ্ছল মধ্যবিত্ত বলতে যা বোঝায় সে ধরনের পরিবারেই তার জন্ম। তার পারিবারিক জীবনের ছন্দপতনের মূলে পিতার মৃত্যু এবং নিজ চাচার সঙ্গে তার মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে তার শিশু মনে তীব্র আঘাত হানে এবং এটা মেনে নিতে পারেননি বলেই কিশোর বয়সে পরিবার-গৃহত্যাগ করে অনিশ্চিত পথে বেরিয়ে পড়া। একাকী-ভবঘুরে জীবনে জীবিকার জন্যই তাকে যুক্ত হতে হয়েছিল নানা পেশায়। পারিবারিক সচ্ছলতা তাকে আটকাতে পারেনি, তাই নিশ্চিত জীবনের বৃত্ত ছেড়ে তিনি অজানা পথে পা বাড়িয়েছিলেন।
ছাত্র হিসেবে নজরুল সাধারণ মানের ছিলেন না। ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। ১৯১৭ সালে রানীগঞ্জ শিয়ারশোর স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র নজরুল ছিলেন ক্লাসের ফার্স্ট বয়। পরিবারবিচ্ছিন্ন নজরুলের জীবনে ঘটে ছন্দপতন। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে তার পরিবারবিচ্ছিন্নের মূল কারণ রূপেই বিবেচনা করা যায়। মাত্র ১৭ বছর বয়সে যোগ দেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বাঙালি পল্টনে। উপনিবেশিক শাসক ব্রিটিশের পক্ষে যুদ্ধ করার মানসিকতার পরিবর্তন ঘটতে বিলম্ব হয়নি। ১৯২১ সালে হাবিলদার পদমর্যাদায় থাকা সেনাবাহিনীর চাকরি হতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে একাগ্রচিত্তে সাহিত্য সাধনায় প্রবেশ করেন। এবং কলম ধরেছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদেরই বিরুদ্ধে। তার রচিত প্রথম কবিতা ‘মুক্তি’ ১৯১৯ সালের জুলাই মাসে ‘বঙ্গীয় মুসলমান’ পত্রিকায় ছাপা হয়। নজরুলের বিদ্রোহী ভাবনার কবিতা ও গানে তিনি অনায়াসে তার সমসাময়িক অন্য সকলকে অতিক্রম করতে পেরেছিলেন। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী ভাবনার কবিদের তিনিই পথিকৃত। তার পূর্বে কিংবা পরে দ্বিতীয় কেউ তার নিকটস্থ পর্যন্ত হতে পারেননি।
নজরুল চিন্তা-চেতনায়, মননে-সৃষ্টিতে এমন কি ব্যক্তিগত জীবনাচারে ছিলেন পরিপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প তখন সমাজে প্রবল বেগে বিস্তার করছিল। কিন্তু তাকে সেই বিষ স্পর্শ করতে পারেনি। উপনিবেশিক শোষণ-বঞ্চনা, সামাজিক বৈষম্য ও শোষণ-পীড়ন তার সাহিত্য রচনায় প্রকাশ ঘটে। তিনি প্রতিপক্ষ শত্রæর বিরুদ্ধে শক্তিশালী কার্যকর রাজনৈতিক ভূমিকার অবর্তমানে আশ্রয়ের খোঁজে ঈশ্বরের করুণা প্রার্থী হয়েছেন। তেমনি শক্তির দেবী কালী মূর্তির কাছেও ধরনা দিয়েছেন। তার লক্ষ্য ছিল নির্ধারিত। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী এবং স্বদেশি সামন্তবাদীদের পরাভূত করা। হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে নজরুল চিরকাল উচ্চৈকণ্ঠে প্রতিবাদী ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে নার্গিসের সঙ্গে বিয়ে বাতিলের পর গিরিবালা দেবীর কন্যা প্রমীলা দেবীকে বিয়ে করেন। এতে দুই সম্প্রদায়ের ধর্মান্ধদের তীব্র ধিক্কার কবিকে সহ্য করতে হয়। কিন্তু নিজ অঙ্গীকারে অটল কবি নজরুল তার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে কখনো বিসর্জন দেননি।
প্রবল প্রতিপক্ষ উপনিবেশিক ইংরেজ সরকার ১৯৩১ সালে তার ‘ভাঙার গান’ বইটি নিষিদ্ধ ও বাজেয়াপ্ত করে। ঐ একই বছর ‘যুগবাণী’ বইটিও নিষিদ্ধ হয়। আরো নিষিদ্ধ ও বাজেয়াপ্ত হয় ‘চন্দ্রবিন্দু’, ‘বিষের বাঁশি’। তবুও নজরুলকে দমানো সম্ভব হয়নি। তাকে জেলে যেতে হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। জেলের অনাচারের বিরুদ্ধে অনশন করেছেন। তবুও আত্মসম্পর্ণের একটি দৃষ্টান্তও সৃষ্টি করেননি। নজরুলের সম্পাদিত ‘নবযুগ’, ‘ধূমকেতু’, ‘লাঙল’ প্রভৃতি পত্রিকা ইংরেজ শাসক বাজেয়াপ্ত করেছিল। ‘অগ্নিবীণা’ বইটিও শাসকেরা সহ্য করেনি। সামগ্রিকভাবে নজরুল বিরুদ্ধ স্রোতের বিপরীতে অবিচল থেকে যেমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তেমনি শৃঙ্খলিত পরাধীন দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছেন সাম্রাজ্যবাদী-সামন্তবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে। নেতাজী সুভাষ বসু যথার্থই বলেছিলেন, ‘আমরা যখন যুদ্ধে যাব- তখন সেখানে নজরুলের গান গাওয়া হবে। আমরা যখন কারাগারে যাব সেখানেও নজরুলের গান গাওয়া হবে।’ ইংরেজ বিতাড়নে ভারতবর্ষের পূর্ণ স্বাধীনতার ঘোষণা নজরুলই প্রথম দিয়েছিলেন ১৯২২ সালে ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার মাধ্যমে।
ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ক্রমাগত বিকাশ নজরুলকে বিচলিত করেছিল। ভবিষ্যতের অনাকাক্সিক্ষত দ্ব›দ্ব-সংঘাতের আশঙ্কা-উপলব্ধি যথার্থই তিনি করতে পেরেছিলেন। উগ্র সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে তার শাণিত উক্তি, ‘হিন্দুত্ব ও মুসলমানত্ব দুই সওয়া যায়, কিন্তু তাদের টিকিত্ব ও দাড়িত্ব অসহ্য, কেননা ওই দুটো মারামারি বাধায়। টিকিত্ব হিন্দুত্ব নয়, ওটা হয়তো পণ্ডিত্ব! তেমনি দাড়িত্ব ইসলামত্ব নয়, ওটা মোল্লাত্ব! এই দুই ত্ব মার্কা চুলের গোছা নিয়েই আজ এত চুলোচুলি! আজ যে মারামারিটা বেধেছে সেটাও এই পণ্ডিত-মোল্লার মারামারি। হিন্দু-মুসলমানে মারামারি নয়।’
বাংলা সাহিত্য একান্তই সকল বাঙালির। এতে সম্প্রদায়ের ভেদাভেদ নেই। নজরুল সাহিত্যে উভয় ধর্মের অবাধ প্রবেশ ঘটেছে। তিনি বিবাদে লিপ্ত দুই ধর্মের মানুষকে এককাতারে শামিল করতে চেয়েছেন, বিপ্লব আকাক্সক্ষায়। জাতিকে খণ্ডিত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তাই নজরুল বলেছেন, ‘বাংলা সাহিত্য হিন্দু-মুসলিম উভয়েরই সাহিত্য। এতে হিন্দু দেবদেবীর নাম দেখলে মুসলমানের রাগ করা যেমন অন্যায়, হিন্দুরাও তেমনি মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের মধ্যে নিত্যপ্রচলিত মুসলমানি শব্দ দেখে ভুরু কোঁচকানো অন্যায়। আমি হিন্দু-মুসলমানের মিলনে পরিপূর্ণ বিশ্বাসী। তাই তাদের এ সংস্কারে আঘাত হানার জন্যই মুসলমানি শব্দ ব্যবহার করি, বা হিন্দু দেবদেবীর নাম নিই। অবশ্য এর জন্য অনেক জায়গায় আমার কাব্যের সৌন্দর্যহানি ঘটেছে। তবু আমি জেনেশুনেই তা করেছি।’ ১৯৩১ সালে ‘নবযুগ’ পত্রিকায় আরো লিখেছেন, ‘এক খুঁটিতে বাঁধা রামছাগল, এক খুঁটিতে বাঁধা খোদার খাসি, কারুর গলার বাঁধন টুটল না, কেউ মুক্ত হলো না, অথচ তারা তাল ঠুকে এ ওকে ঢুঁস মারে। দেখে হাসি পায়।’ এই দুইপক্ষ এক হতে পারেনি সেটা বাকহীন অসুস্থ থাকায় নজরুল দেখে যেতে পারেননি। তাই দেশভাগ ও বাংলাভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি। ১৯৪২ সালে ‘নবযুগ’ পত্রিকায় নজরুল লিখেছিলেন, “বাঙালি যেদিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলতে পারবে ‘বাঙালির বাংলা’ সেদিন তারা অসাধ্য সাধন করবে।” আরো লিখেছেন, “বাঙালির ছেলেমেয়েকে ছেলেবেলা থেকে যে মন্ত্র শেখানো হবে তা হলো বাংলাদেশ আমাদের, এখান থেকে আমরা তাড়াব পরদেশী দস্যু ও ডাকাতদের, রামা’দের-গামা’দের।”
সর্বভারতীয় ধারার দুই প্রধান রাজনৈতিক দল কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগের ক্ষমতার ভাগাভাগিতে অবিভক্ত বাংলায় সাম্প্রদায়িক রাজনীতির উত্থান ঘটে। ক্রমেই সাম্প্রদায়িকতা চরম আকার ধারণ করে। নজরুলের ভাবনার অন্তর্গত অবিভক্ত বাংলা এবং বাঙালি চূড়ান্তে এক থাকতে পারেনি। দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের মধ্য দিয়ে। দেশভাগের পর সাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায়ের বিখ্যাত সেই ছড়া, “ভুল হয়ে গেছে বিলকুল/ আর সবকিছু ভাগ হয়ে গেছে, ভাগ হয় নিকো নজরুল/ ওই ভুলটুকু বেঁচে থাক/ বাঙালি বলতে একজন আছে দুগর্তি তার ঘুচে যাক।” নজরুল কিংবা বাঙালিকে ভাগ করা যায়নি। তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত খণ্ডিত হলেও বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। পাকিস্তানিরা শত চেষ্টা করেও ধর্মের বিভাজনে বাঙালিকে বিভক্ত করতে পারেনি। পারেনি নজরুলকে এবং তার সাহিত্যকে ধর্মীয় তক্মায় খণ্ডিত করে একান্তই মুসলিম সাহিত্যিক রূপে প্রতিষ্ঠা করতেও। বাংলা সাহিত্যে নজরুলের ন্যায় অসামান্য-অসাম্প্রদায়িক সাহিত্যিকের আবির্ভাব ঘটেছিল বলেই একাত্তরে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল।
নজরুলের অগ্রজতুল্য কবি রবীন্দ্রনাথও সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে শঙ্কামুক্ত ছিলেন না। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘হিন্দু-মুসলমানের সম্বন্ধ লইয়া আমাদের দেশে একটা পাপ আছে। এ পাপ অনেকদিন হইতে চলিয়া আসিতেছে। ইহার যা ফল তাহা না ভোগ করিয়া আমাদের কোন মতেই নিস্তার নাই।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘যে একদেশে আমরা জন্মিয়াছি সেই দেশের ঐক্যকে খণ্ডিত করিতে থাকিলে ধর্মহানি হয় এবং ধর্মহানি হইলে কখনই স্বার্থ রক্ষা হইতে পারে না। তখনই আমরা উভয় ভ্রাতার একই সমচেষ্টার মিলনক্ষেত্রে আসিয়া হাত ধরিয়া দাঁড়াইব।’ হিন্দু-মুসলমান বিরোধ-বিবাদে ক্ষুব্ধ রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘তর্ক করিবার বেলায় বলিয়া থাকি কি করা যায়, শাস্ত্র তো মানিতে হইবে। অথচ শাস্ত্রে হিন্দু-মুসলমান সম্বন্ধে পরস্পরকে এমন করিয়া ঘৃণা করিবার তো কোন বিধান দেখি না। যদি বা শাস্ত্রের সেই বিধানই হয়, তবে সে শাস্ত্র লইয়া স্বদেশ-স্বজাতি-স্বরাজের প্রতিষ্ঠা কোনদিন হইবে না। মানুষকে ঘৃণা করা যে দেশে ধর্মের নিয়ম, প্রতিবেশীর হাতে জল খাইলে যাহাদের পরকাল নষ্ট হয়, পরকে অপমান করিয়া যাহাদের জাতি রক্ষা করিতে হইবে, পরের হাতে চিরদিন অপমানিত না হইয়া তাহাদের গতি নাই। তাহারা যাহাদিগকে ¤েøচ্ছ বলিয়া অবজ্ঞা করিতেছে, সেই ¤েøচ্ছের অবজ্ঞা তাহাদিগকে সহ্য করিতে হইবে।’ বাংলা ও বাঙালি অভিন্ন জাতিসত্তার প্রতি আমাদের দুই মহান কবিদ্বয়ের মধ্যে বিরোধ নেই। রয়েছে সংহতি। ব্যাপকভাবেই।
নজরুল সমাজ ও রাষ্ট্রে সাম্য প্রতিষ্ঠায় ছিলেন অবিচল এবং অকুতোভয়ও। বলশেভিক বিপ্লবকে তিনি যেরূপ গ্রহণ করতে পেরেছিলেন; তেমনটি অন্য কেউ পারেননি। তার গ্রন্থের নাম ‘সাম্যবাদী’, ‘সর্বহারা’। এতে বুঝে নেয়া অসাধ্য নয় তার চেতনার গভীর লক্ষ্যটিকে। শ্রমজীবী মানুষের প্রতি তার গভীর মমত্ববোধ ছিল বলেই তার সাহিত্যে কৃষক, শ্রমিক, কুলি, মজুর, ধীবর, চোর-ডাকাত, বারবণিতা সকলেই উপস্থিত এবং বিষয়ভুক্ত। সামষ্টিক মুক্তির লক্ষ্যে তিনি রাজনীতিতে (কমিউনিস্ট পার্টি) ছিলেন। কেবল কলম হাতে যুদ্ধ করেননি। শারীরিকভাবেও কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাম্রাজ্যবাদী-সামন্তবাদী শোষণ অবসানে লড়ে গেছেন।
নজরুলের অবিভক্ত বাংলা অখণ্ড থাকেনি। ভাগ হয়ে গেছে দুই পৃথক রাষ্ট্রের সীমানায়। ব্রিটিশদের কূটচাল আর কংগ্রেস-মুসলিম লীগের ক্ষমতার ভাগাভাগিতে চূড়ান্ত হয়েছিল দেশভাগ এবং বাংলাভাগও। উদ্দেশ্যমূলক উপায়ে ধর্মকে ঢুকিয়ে জন্ম দেয়া হয় সাম্প্রদায়িকতা, পরিণতিতে ঘটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং রক্তাক্ত দেশভাগ। আজো নজরুল আমাদের অবলম্বনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নজরুলকে ভাগ করা সম্ভব হয়নি। কাঁটাতারের বেড়া, দিল্লির শাসকগোষ্ঠীর সীমান্তের নৃশংসতা আর পৃথক রাষ্ট্রের বিভাজনেও বাঙালিকে পৃথক করা যাবে না। কেননা বাঙালির সঙ্গে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন নজরুল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়