কাগজ প্রতিবেদক : বিজিএমইএ পোশাক রপ্তানি কনটেইনার যথাসময়ের মধ্যে জাহাজীকরণের জন্য পোশাক শিল্পের ক্রেতাদের অধিক সংখ্যক শিপিং লাইনার ও অফ-ডক মনোনয়ন দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছে।
বিজিএমইএর উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ক্রেতা ও মেইনলাইন অপারেটর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ সহযোগিতার অনুরোধ জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর সহসভাপতি মিরান আলী, পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব, সাবেক পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন, বিজিএমইএর পোর্ট এন্ড শিপিং বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হাসান আবদুল্লাহ, বিকেএমইএর পরিচালক ফজলে শামীম এহসান, এইচ এন্ড এমের রিজিওনাল কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান, মার্কস এন্ড স্পেন্সারের কান্ট্রি ম্যানেজার স্বপ্না ভৌমিক ও শিপিং লাইন মার্কসলাইনের কান্ট্রি হেড অংশুমান মিত্র মুস্তাফি।
সভায় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে শিপিং লাইনার ও অফ-ডক নির্ধারিত করে দেয়ার কারণে পোশাক শিল্পের রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনারগুলোকে বন্দরে অতিরিক্ত ১০-১৫ দিন থাকতে হচ্ছে। এতে করে বন্দরে কনটেইনার জট দেখা দিয়েছে। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, অনেক ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করলেও মাত্র ১টি অথবা ২টি শিপিং লাইন ও ফরওয়ার্ডারের মনোনয়ন দেয়। পাশাপাশি ক্রেতারা রপ্তানি পণ্যের জাহাজীকরণের জন্য ৪/৫টি অফ-ডক অনুমোদন দেয়। এতে করে জাহাজীকরণে দেরি হয়, ফলশ্রæতিতে রপ্তানি অর্থ প্রত্যাবাসিত হতে বিলম্বিত হয়। এজন্য রপ্তানিকারকদেরও অতিরিক্ত চার্জ মাশুল দিতে হচ্ছে।
এ সমস্যা সমাধানের জন্য ক্রেতাদের অধিক সংখ্যক শিপিং লাইনার ও অফ-ডক মনোনয়ন দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিজিএমইএ চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্ট রপ্তানি কনটেইনার জট নিরসনের জন্য এইচএন্ডএম, এমএন্ডএসসহ বায়ার্স ফোরামের মাধ্যমে পোশাক শিল্পের ক্রেতাদের চিঠি দিয়ে পরিস্থিতি অবহিত করে এ ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা কামনা করে। এরই ফলশ্রæতিতে এ সভা হয়।