×

রাজনীতি

উপজেলা নির্বাচন

পদ হারালেন বিএনপির আরো ৬১ নেতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ০৬:৩৫ পিএম

পদ হারালেন বিএনপির আরো ৬১ নেতা

ফাইল ছবি

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় আরো ৬১ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এরা সবাই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। বহিষ্কৃতদের মধ্যে ২৬ জন চেয়ারম্যান পদে, ১৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং বাকি ১৬ জন সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। 

শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যে সব নেতৃবৃন্দ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের দেড়শ উপজেলায় ভোটে অংশ নেয়ায় ৭৯ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। অর্থাৎ দুই দফায় বিএনপি বহিষ্কার করল মোট ১৪০ জনকে।

প্রথম দফায় বহিষ্কার করার পর একজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর বিএনপি তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিয়েছে। বাকিরা কেউ নির্বাচন থেকে সরতে রাজি নন। বরং ভোট বর্জন করায় দলকেই দুষছেন তারা।

আরো পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি পূরণ না হওয়ায় ২০১৪ সালের মত এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটও বর্জন করেছে বিএনপি। তবে দশম সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোটে প্রার্থী ছিলো বেশি। বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা স্বতন্ত্র নির্বাচন করে জিতে এসেছেন, একজন ভাইস চেয়ারম্যান সরাসরি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকা প্রতীকে জিতে এসেছেন। আরো বেশ কয়েকজন অন্য দলে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়েছেন।

জাতীয় নির্বাচনের মত উপজেলা নির্বাচনেও যাচ্ছে না বিএনপি। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়- এই সিদ্ধান্তে অটল তারা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে অন্তত দেড় বছর কোনো স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেয়নি দলটি। তবে এবারের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরও আছে ভিন্ন কৌশল। তারা ভোট জমিয়ে তুলতে দলীয় প্রতীক তুলে দিয়ে প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। 

বিএনপি ভোটে না এলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়া একাধিক নেতা বলছেন, তাদের এলাকায় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা অংশ নিচ্ছেন। তাতে আওয়ামী লীগপন্থিদের ভোট ভাগের সুযোগ নিতে চাইছেন তারা। তবে বিএনপি ছাড় দিচ্ছে না। গত ২৬ এপ্রিল ৭৬ জনকে, পরদিন তিন জনকে এবং সবশেষ ৩০ এপ্রিল বহিষ্কার করা হয় চারজনকে।

এরপর সংবাদ সম্মেলন করে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মেহেরপুর সদর উপজেলায় সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী রোমান আহমেদ। বিএনপি তখন তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে।

রুহুল কবির রিজভীর বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন বিএনপি বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের এই সিদ্ধান্ত যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে প্রথমে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না বলে দাবি করে বিএনপি নেতা বলেন, আমরা মনে করি উপজেলা নির্বাচনও অবাধ সুষ্ঠু হবে না। যারা ভোটে এসেছে তাদের সঙ্গে সরকারের যোগসাজশ তৈরি হয়েছে বলে এর আগে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App