×

রাজনীতি

গয়েশ্বর

আন্দোলন ফেরাতে নতুন কৌশল নিয়ে এগোতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম

আন্দোলন ফেরাতে নতুন কৌশল নিয়ে এগোতে হবে

গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন সফল করতে ‘নতুন কৌশল নিয়ে এগোতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, আমাদের লড়াইটা তারেক রহমানকে নেতা বানানোর জন্য না। কারণ তারেক রহমান অলরেডি জাতীয় নেতা…. ‘ইট হেজ বিন ডিসাইডেড ইলেক্টেড বাই দ্য পিপলস বাই সেভেন জানুয়ারি’। এখন আমাদের মূল কাজটা হলো তারেক রহমানের নেতৃত্বকে সফল করা।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মীর হেলালের সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আহসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, ছাত্র দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

গয়েশ্বর বলেন, আমরা যদি তার নেতৃত্বকে সফল করতে চাই তাহলে আমরা স্ব স্ব কাজে স্ব স্ব দায়িত্বে আমাদেরকে নিষ্ঠাবান হতে হবে… আমাদের ঝিমিয়ে পড়াও না, চাপাবাজিও চলবে না। আমাদের বুঝতে হবে মনের সঙ্গে আর কাজের সঙ্গে যেন অসঙ্গতি না থাকে। আমাদের নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করতে হবে যে কৌশলের মধ্য দিয়েই জনবিচ্ছিন্ন শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করতে.. আমাদের বাঁচার জন্য, দেশটাকে রক্ষার জন্য এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী মনে করি। সেই জরুরী কাজটা করতে গেলে আমাদের সততা নিষ্ঠার দরকার আছে।

আরো পড়ুন: বিএনপি নেতা আতাউরের ৫ মামলায় জামিন

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১/১১ তারেক রহমান বন্দি হয়েছে, সারা জাতি বন্দি হয়েছে, তখনই গণতন্ত্র বন্দি হয়েছে। বলা হয় তিনি (তারেক রহমান) মুক্তি পেয়েছিলেন… আসলে তিনি পান নাই। তিনি মুক্তি পান নাই মানে দেশের মানুষও মুক্তি পান নাই। যে লড়াই ও সংগ্রামকে লক্ষ্য করে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে সেই দেশটিতে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় নাই।

এই লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। এই লড়াইয়ের শেষ কোথায় আমরা জানি না। তারপরও আমাদের চলার পথ অর্থাৎ গণতন্ত্র উদ্ধার করার পথ থেকে আমাদের সরে যাওয়া যাবে না। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আজকে নিষ্পেষিত, আজকে বন্দি… এই থেকে আমাদেরকে অবশ্যই পরিত্রাণ পেতে হবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের সাংবাদিক সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের যৌথ উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে এই আলোচনা সভা হয়।

২০০৭ সালে ৭ মার্চ সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। পরে তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দেয়া হয়। এক বছর পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতের জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডনে যান তিনি।

আরো পড়ুন: জুজুর ভয় দেখিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে প্রতারিত করা যাবে না

তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রশংসা করে গয়েশ্বর বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কত কিছু পত্রিকায় লেখালেখি… লিখতে লিখতে আপনারা পারেন নাই। সত্য সত্যই হয়ে আছে। তারেক রহমান তার অবস্থানে জনগণের হৃদয়ের মধ্যে আছেন। আমি আজকে তাকে ধন্যবাদ জানাই।

তারেক রহমান বাংলাদেশে অনুপস্থিত। কিন্তু দৃশ্যত তাকে দেখা না গেলেও মানুষের অন্তরে তিনি উপস্থিত আছেন এবং আছেন বলেই তার কথায় আন্দোলনের নেতা-কর্মী-মানুষরা ঝাঁপিয়ে পড়ে।

দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কত মিথ্যাচার করেছে, কত অপপ্রচার করেছে তারপরও সরকার কিছু করতে পারছে না। প্রতিদিন প্রযুক্তির মাধ্যমে সত্য প্রকাশ পাচ্ছে। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত তার বক্তব্য ইথারের ভেসে আসছে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে।। মানুষ জানছে তিনি আইন করে, বিচার করে তার বক্তব্য বন্ধ করছেন। কিন্তু তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত তিনি যা বলেন, তার কথা মানুষের কানে এসে পৌঁছায়। এই কারণে শেখ হাসিনার আক্রোশ, প্রতিহিংসা দিন দিন আরো বাড়ছে। গণতন্ত্রকামী, ভিন্নমতের মানুষকে কারাগারে নিচ্ছে, গুম করছে, হত্যা করছে, নির্যাতন করছে।

সুতরাং এই গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াইয়ে জিততেই হবে, বিজয় অর্জন করতে হবে। আমাদের জাতিকে আত্মনির্ভরশীল জাতিতে পরিণত করতে হলে এই সরকারকে সরাতেই হবে। এই সংগ্রামে জয়ী হয়ে গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, সংগ্রামের প্রতীক দেশনায়েক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App