ব্রেকিং |
সবজি স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে মাছ-ডিমের দাম
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
গত কয়েক মাস ধরে সবজির দাম বাড়তি থাকলেও গত দুই তিন সপ্তাহ ধরে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। ফলে সবজির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। কয়েকটি সবজির বর্তমানে মৌসুম না হওয়ায় সেগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।
পাহাড়ি ঢল আর টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দেশের অন্তত ১১ জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে ডুবে গেছে বহু এলাকার ফসলি জমি। রাজধানীর বাজারে এর প্রভাব এখনো খুব একটা পড়েনি। কাঁচা শাক-সবজিসহ অন্যান্য পণ্য সরবরাহ অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা কেজি, এখন ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির সঙ্গে ডিমের দামও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। ৫ টাকা বেড়ে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। শান্তিনগর কাঁচাবাজারের ভাই ভাই স্টোরের কামাল হোসেন বলেন, ডিমের দাম একটু বেড়েছে। কারণ বন্যা। তবে অন্যান্য সময় এ ধরনের বন্যায় প্রতি ডজনে ১০-২০ টাকা বাড়ে। কিন্তু এবার সেটা হয়নি। আসলে এখন বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা আছে।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেও রাজধানীর বাজারে সবজির দামে স্বস্তি মিলছে। ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পটল, পেঁপে, ঢ়্যাঁড়স। এক মাস আগেও ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি মেলেনি। এ তিন সবজির মতো বেশিরভাগ সবজির দাম বেশ কমেছে। আগে বেগুন, বরবটি, কাঁকরোল, করলা, কচুরমুখীর মতো সবজি ১০০ টাকার ওপরে ছিল, এখন ৬০-৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কিছুটা কমতে দেখা গেছে আলুর দামও। প্রতি কেজি ৬০ টাকা কেজি দামের আলু এখন ৫৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম ২০০ টাকার ওপরে ছিল, এখন ১৬০ টাকা দামে নেমেছে।
সবজির এ অবস্থায় অস্থিতিশীল পন্য হিসেবে পরিচিত পেঁয়াজের দামও আগের মতো স্থিতিশীল রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে, সবজির বাজার স্থিতিশীল থাকলেও মাছের দামে অস্বস্তি কাটেনি। বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। যেকোনো মাছ কিনতে ক্রেতাদের বিক্রেতার সঙ্গে দর কষাকষি করতে হচ্ছে। তাতেও সাধ্যের মধ্যে আসছে না পছন্দের মাছ। বাজারে মাছের দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন বন্যার কারণে মাছ চাষিদের মাছ ভেসে গেছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ও এলাকাভিত্তিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে পাঙাস, তেলাপিয়া, চাষের কৈ-সহ সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে। প্রতি কেজি পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়, চাষের কৈ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, কাতল প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাপিলা প্রতি কেজি ৬০০ টাকায়, সরপুঁটি প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, রুপচাঁদা প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায়, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, গুলশা টেংরা প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, টেংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি ৪২০ থেকে ৪৮০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৪০০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে।