ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি আতঙ্ক
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:১২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
দেশের চলমান অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ বেশকিছু এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। সরকার পতনে পুলিশ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পর ডাকাত আতঙ্কে বুধবারও নির্ঘুম রাত কেটেছে ঢাকার অনেক এলাকার বাসিন্দাদের।
মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় গত দুইদিনে অন্তত দুইবার গণডাকাতির চেষ্টা হয়েছে। বুধবার রাতেও হয়েছে। রাতভোর ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট লিখে, লাইভ করে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়েছেন আতঙ্কিত বাসিন্দারা। আবার মোহাম্মদপুর, উত্তরার অনেক এলাকায় দল বেঁধে পাহারা দিয়েছেন এলাকাবাসী।
রাত ৩টার দিকে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে সাহায্য চান অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। উত্তরার প্রিয়াংকা রানওয়ে সিটিতে ‘ডাকাতের হামলার’ খবর দিয়ে তিনি সাহায্য চাইছিলেন। চমক বলেন, ভবনের বাসিন্দারা যার হাতে যা আছে দা-বটি-লাঠি তাই নিয়ে নিচে নেমেছেন ডাকাত মোকাবেলা করতে। তারা সেনাবাহিনীকে ফোন করেও পাচ্ছেন না। তিনি সেনাবাহিনীর টহল দলকে সেখানে যাওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করেন।
মিরপুর সেনানিবাস সংলগ্ন ইসিবি চত্বরে ডাকাতরা একটি ভবনে হামলা করেছে বলে অনেকে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও করতে থাকেন। ভিডিওগুলোতে শুধু হইচই আর সেনা টহলগাড়ির সাইরেনের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ডাকাতরা হামলা করেছে বা আসছে– রাতভোর ফেইসবুকে এমন পোস্ট দিয়েছেন অনেকে। আবার একযোগে ঢাকা শহরে এত ডাকাত কোত্থেকে এল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। এটা নিছকই আতঙ্ক কি-না সে প্রশ্নও তারা করছেন।
আবার মোহাম্মদপুরে এলাকা পাহারা দিতে বের হওয়া দুটি পৃথক দল পরস্পরকে ডাকাত ভেবেও হইচই করেছে বলে জানিয়েছেন মাসুম সারোয়ার নামে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। পুলিশের বিশেষায়িত সন্ত্রাস দমন ইউনিট এটিইউ’র এসপি ছানোয়ার হোসেনও রাত জেগে ছিলেন। ভোর ৫টায় নিজের ফেইসবুক পেইজে তিনি লেখেন, আজ রাতে ডাকাত ইস্যুতে প্রিয়জন কিংবা পরিচতজনদের থেকে শতাধিক হেল্প কল/টেক্সট পেয়েছি যা রীতিমত ভয়ংকর একটি অভিজ্ঞতা।
এই মুহূর্তে সেনা টহল টিমের নম্বর দেয়া ছাড়া আমার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু অধিকাংশেরই বক্তব্য, নম্বর বিজি পাচ্ছে। হয়ত সবাই একইসঙ্গে কল করায় এমনটি হচ্ছে। আজ ঘটনাগুলো মোহাম্মদপুর, বসিলা, ধানমন্ডি, মিরপুর, ইসিবি চত্তর এবং উওরার দিকে বেশি হচ্ছে। 'বেড়ী বাঁধ' ডাকাতদের প্রবেশ পথ বলে মনে হচ্ছে। আবার, ঢাকার অভ্যন্তরীণ সিজনাল লুটেরা গ্যাং বা ডাকাতও হতে পারে।
অচিরেই পুলিশ কাজে ফিরবে আশা করে ছানোয়ার লিখেছেন, “যাই হোক, মানুষের মধ্যে মারাত্মক 'নিরাপত্তা ভীতি' লক্ষণীয়। খুব অসহায় বোধ করছি। সুদীর্ঘ চাকরিজীবনে এমনটি কখনো হয়নি যে কাউকে পুলিশি সেবা প্রদান করতে পারিনি। তবে খুব শীঘ্রই ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। শুধু পুলিশের মাঝ থেকে 'নিরাপত্তা ভীতি'টা দূর করে দিন।