ভিকারুননিসার ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলই থাকল
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১১:১৮ এএম
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখায় ভর্তিতে বয়সসীমা লঙ্ঘিত হওয়ায় প্রথম শ্রেণিতে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের আদেশ বহালই থাকছে।
রবিবার (১৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ভর্তি বাতিলের এ সিদ্ধান্ত বহাল রেখে আদেশ দেন।
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বিভিন্ন শাখায় প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে, বয়সের ঊর্ধ্বসীমা (নিজেদের নির্ধারিত) অনুসরণ না করে-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে বিধিবহির্ভূতভাবে ভর্তি হয় ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন এবং ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী ১৫৯ জন।
এ নিয়ে মোট ১৬৯ শিক্ষার্থীকে ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক স্কুল কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদনে সাড়া না পেয়ে তারা ওই ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট দরখাস্তটি ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় এবং রুল জারি করে।
আরো পড়ুন: সীমান্ত নিরাপত্তায় সংসদকে ৪ পরামর্শ হাইকোর্টের
হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) তাদের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে উপস্থাপন করে। সেখানে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চারটি শাখায় ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে বিধিবহির্ভূতভাবে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে জরুরিভিত্তিতে মাউশিকে অবহিত করতে বলা হয়। পরে ভর্তি বাতিলের বৈধতা নিয়ে ১৩৬ জন অভিভাবক আরেকটি রিট করেন।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান ভর্তি বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। গত ২০ মার্চ আপিল বিভাগ ১৬৯টি শূন্য আসনে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি করাতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশে স্থিতাবস্থা দেয় এবং দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টকে এ সংক্রান্ত জারি করা রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ২১ মে ওই আদেশের প্রেক্ষিতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ বিধিবহির্ভূতভাবে ভর্তি হওয়া প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে রায় দেয়। এ রায় স্থগিত চেয়ে ১৬৯ ছাত্রীর পক্ষে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রায় এসেছে।