×

জাতীয়

সংখ্যালঘু সুরক্ষায় কমিশন গঠনের দাবি নির্মূল কমিটির

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৪, ০৮:১১ পিএম

সংখ্যালঘু সুরক্ষায় কমিশন গঠনের দাবি নির্মূল কমিটির

জাতীয় প্রেসক্লাবে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পৃথক কমিটির নেতৃবৃন্দরা। ছবি: সংগৃহীত

সংখ্যালঘু সুরক্ষায় অবিলম্বে পৃথক আইন প্রণয়নের পাশাপাশি জাতীয় কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ অনলাইনে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কার্যকর আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে নির্মূল কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। গত ১৮ মে সংগঠনের অষ্টম জাতীয় সম্মেলনে নবনির্বাচিত ৯১ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ এবং ৫৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে নতুন কমিটির সদস্যদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। 

নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি শহিদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি কাজী মুকুল এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদসন্তান আসিফ মুনীর। অন্যদিকে কার্যনির্বাহী কমিটির বিদায়ী সভাপতি শাহরিয়ার কবিরকে সভাপতি ঘোষণা করে ৫৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ ঘোষণা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে দুটি কমিটির নাম ঘোষণা করেন শাহরিয়ার কবির ও কাজী মুকুল।

সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়ার কবির বলেন, দেশে সংখ্যালঘুর অধিকার রক্ষায় সরকারের কর্মসূচি পর্যাপ্ত মনে হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে আমরা সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছি। সরকার যদি তা করতে না পারে, তবে আমরাই সুশীল সমাজকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করব।

আরো পড়ুন: হাইকোর্টে হেরে গেলেন ব্যারিস্টার সুমন

কমিটির উপদেষ্টা আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ভারত, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় বিচারিক ক্ষমতাসম্পন্ন জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন রয়েছে। বাংলাদেশে যদিও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রয়েছে, তবে তাদের তেমন ক্ষমতা দেয়া হয়নি। আমরা এখনো সরকারের কাছে বিচারিক ক্ষমতাসম্পন্ন সংখ্যালঘু কমিশনের দাবি জানাই। সরকার যদি না পারে, তবে আমরা নিজেরাই এ কমিশন গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেব।

কমিটির উপদেষ্টা, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, নির্মূল কমিটিকে পরিচালনা করতে গিয়ে পদে পদে প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছি। উচ্চ পর্যায় থেকে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে আমাদের। আমাদের পরিত্যাজ্য করার একটা সিন্ডিকেট রয়েছে। অথচ সরকার যখন বিপদে পড়ে, তখন সরকারের পক্ষ থেকে শাহরিয়ার কবিরকে অনুরোধ জানায় তাদের পক্ষে যেন বিবৃতি দেয়।

নব-নির্বাচিত সভাপতি শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, সমাজে যেকোনো অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আমরা পদের দাবিদার না। নিজের লাভের জন্য কারো দরজায় দরজায় ঘুরি না। আমরা সেই কাজটি করি যাতে সমাজ উপকৃত হয়। 

নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আসিফ মুনীর বলেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আলোকিত করতে একাত্তরের ১১ জন শহিদ বুদ্ধিজীবীর নামে পৃথক তরুণ বিগ্রেড গঠন করা হয়েছে। নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পাঠদান কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

আরো পড়ুন: সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় কিন্তু আলামতের অভাবে তারা অনেক সময় সুষ্ঠু বিচার থেকে বঞ্চিত থেকে যায়। আমরা নির্মূল কমিটির চিকিৎসা সহায়ক কমিটি গঠন করেছি, যাতে ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যর্থতার কারণে ভিকটিমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়।

আরো উপস্থিত ছিলেন- নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী আবুল বারক আলভী, শিক্ষাবিদ মমতাজ লফিত, মানবাধিকার নেতা কাজল দেবনাথ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূ-তত্ত্ববিদ মো. মকবুল-এ ইলাহী চৌধুরী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ। 

কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সহ-সভাপতি অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ রসূল, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, বিভাগীয় সম্পাদক সাংবাদিক হারুন অর রশিদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক চলচ্চিত্র নির্মাতা ইসমাত জাহান, ছাত্রনেতা পলাশ সরকার, ছাত্রনেতা আশেক মাহমুদ সোহান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সমাজকর্মী কামরুজ্জামান অপু, ছাত্রনেতা হারুণ অর রশিদ, ছাত্রনেতা অপূর্ব চক্রবর্তী, অর্থ সম্পাদক লেখক আলী আকবর টাবি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক শরীফ নুরজাহান, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাংবাদিক সুশীল মালাকার, প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক সাংবাদিক আবু সালেহ রণি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক চলচ্চিত্র নির্মাতা পিন্টু সাহা, পাঠাগার সম্পাদক সমাজকর্মী হাসনাত আব্দুল্লাহ বিপ্লব, সহ-প্রচার সম্পাদক চলচ্চিত্র নির্মাতা সাইফ উদ্দিন রুবেল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App