পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ফেরত পাঠানোর দিন পিছিয়েছে। সোমবার ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানের কথা ছিলো, কিন্তু সেটা পিছিয়ে ২৫ এপ্রিল নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২২ এপ্রিল সেটা হচ্ছে না, অর্থাৎ আজ (সোমবার) সেটি হচ্ছে না, মিয়ানমার থেকে যারা পালিয়ে আসছে, ২৮৫ জন তাদেরকে ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন শিডিউল নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ এপ্রিল।

“২৪ এপ্রিল মিয়ানমারের জাহাজ বাংলাদেশে আসবে। ১৪৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক মিয়ানমারে নানাভাবে আটকা পড়েছিলো, অনেকে বন্দিও ছিলো, তাদেরকে নিয়ে আসবে মিয়ানমারের জাহাজ। ২৪ এপ্রিল তো পরশুদিন। পরদিন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের নিয়ে যাবে।”

আরো পড়ুন: ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে এক হাত নিলেন খোকন

দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে, যার আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাতেও। সীমান্তের ওপারের মর্টার শেল ও গুলি এসে এপারে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।  

ওই সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে প্রথম দফায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠিয়েছিলো সরকার। 

তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। 

এরপর বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে কয়েক দফায় মোট ২৮৫ জন এসেছেন বাংলাদেশে, যাদের মধ্যে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও সেনা সদস্য রয়েছেন।  

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, ১৭০ জনের মত বাংলাদেশি বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে গিয়ে আটকা পড়েছেন। তাদের কেউ জেলে আছেন এবং কারো বিচার প্রক্রিয়া চলমান। এর মধ্যে কেউ কেউ মাছ ধরতে গিয়েও মিয়ানমার সীমান্তে ঢুকে আটক হয়েছিলেন। তাদের মধ্যেই ১৪৪ জনকে ফেরানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।