×

জাতীয়

নিকাহনামায় আসছে যেসব সংশোধনী

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৭ পিএম

নিকাহনামায় আসছে যেসব সংশোধনী

ছবি: সংগৃহীত

উচ্চ আদালতের নির্দেশে মুসলিমদের বিয়ের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের ফরম বা কাবিননামা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী নিকাহনামার ফরম থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে নারীর জন্য অবমাননাকর ‘কুমারী’ শব্দটি। এছাড়া বরের স্ত্রী কতজন বর্তমান আছে, তাও জানাতে হবে সংশোধিত ফরমে। 

এর আগে বরের বিয়ে বা বউ আছে কি না, এমন তথ্য চাওয়ার কোনো সুযোগ ছিলো না।

আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে খসড়া (সংশোধিত) ফরম প্রস্তুত করা হয়েছে। চলতি মাসেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। পাশাপাশি নিকাহ রেজিস্ট্রারদের (কাজি) শিক্ষাগত যোগ্যতা আলিম থেকে বাড়িয়ে ফাজিল এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সুবিধাজনক স্থানে নিজ খরচে একাধিক অফিস স্থাপনের পরিবর্তে একটি কাজি অফিস করতে বিধিমালা সংশোধন করা হচ্ছে।

মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪-এর আলোকে ২০০৯ সালে বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। নিকাহনামা ফরমে ২৫ ধরনের তথ্য চাওয়া হয়। ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘কন্যা কুমারী, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারী কি না’ তথ্য চাওয়া হয়।

আরো পড়ুন: রমজানে সুলভ মুল্যে দুধ, ডিম, মাংস পেলো ৬ লাখ মানুষ

২০২২ সালে এক রায়ে এ ক্ষেত্রে পরিবর্তন ও সংশোধন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। খসড়া ফরমে এটি সংশোধন করে ‘কন্যা অবিবাহিত, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারী কি না?’ লেখা হয়েছে।

অন্যদিকে বর্তমান নিকাহনামা ফরমের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে জানতে চাওয়া হয়, ‘বরের কোনো স্ত্রী বর্তমানে আছে কি না এবং থাকিলে অন্য বিবাহে আবদ্ধ হইবার জন্য বর ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ মোতাবেক সালিশি কাউন্সিলের অনুমতি লইয়াছে কি না?’

খসড়া ফরমে এই অনুচ্ছেদে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘বর বিবাহিত, অবিবাহিত, তালাকপ্রাপ্ত, বিপত্নীক কি না? স্ত্রী থাকিলে কতটি এবং অন্য বিবাহে আবদ্ধ হইবার জন্য বর ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ মোতাবেক সালিশি কাউন্সিলের অনুমতি লইয়াছে কি না?’ এ ছাড়া যে কজন স্ত্রী বর্তমান থাকবে, তাদের বিষয়েও তথ্য দিতে হবে নতুন ফরমে।

উল্লেখ্য, নিকাহনামা ফরম সংশোধন চেয়ে ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জনস্বার্থে একটি রিট করে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নারীপক্ষ ও মহিলা পরিষদ। ওই বছরই সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট রায়ে মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে কাবিননামায় ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে থাকা ‘কুমারী’ শব্দটি লেখা বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App