×

জাতীয়

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকার যানজট নিরসনে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ জরুরি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০২ পিএম

ঢাকার যানজট নিরসনে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ জরুরি

ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেল হওয়ায় শহরের যানজট কিছুটা কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে ট্রাফিক আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে আর ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। যত গাড়ি তত পার্কিং ব্যবস্থা রাখার দরকারি উদ্যোগও নেয়ার কথা বলেন তিনি।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ঢাকার যানজট: মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ের প্রভাব’ শীর্ষক এক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ওবায়দুর মাসুম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মোল্লার সঞ্চালনায় সেমিনারে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, বিআইপি সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ, নগর পরিকল্পনাবিদ আয়েশা সাঈদ। 

আরো পড়ুন: হজ নিবন্ধনের অবশিষ্ট টাকা জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুভমেন্ট বেড়েছে। কোনো ভবনে ২০টা পরিবার থাকলে সেখানে নিজস্ব গাড়ি রাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে। পরিবার প্রতি একটি গাড়ি ব্যবস্থা করতে হবে, পরিবারের জন্য দ্বিতীয় গাড়ি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করতে হবে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল সারাবিশ্বের একটি পরিক্ষিত যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা। আমরা বাংলাদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিরল সুযোগ পেয়েছি। এই সুফলটাকে আরো বেশী জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে বেশ কিছু সুবিধা যোগ করতে হবে। 

যানজটের কারণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রাস্তা থাকার কথা ২০ শতাংশ। আছে ৭ শতাংশ। সেই ৭ শতাংশের ৩ শতাংশ চলে যায় অব্যবস্থাপনা ও অপরিকল্পিতভাবে অযৌক্তিক অপব্যবহারের কারণে। এগুলো দেখার কথা কার? ট্রাফিক পুলিশের। এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।  

আশরাফুল ইসলাম বলেন, হাটার জায়গা বাড়ানো দরকার। যার মাধ্যমে মানুষ স্টেশন থেকে নেমে তার গন্তব্যে হেঁটে যেতে পারবে। এটির কোন বিকল্প নেই। আর বাসের যাত্রীর চেয়ে মোটরসাইকেল যাত্রী বেড়েছে কারণ মান সম্পন্ন বাস নেই। তাই যাত্রীরা অন্যভাবে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। বাস রুট রেশনাইলেজনসহ বাসের শৃঙ্খলা দরকার।

আরো পড়ুন: আসছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস-বসন্তবরণ, ফুলের দাম নাগালের বাইরে

ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ের প্রভাব ইতিবাচক। তবে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হলে সেটি আরো বেশি মানুষ সুবিধা পেতো। আমরা দেখছি এক্সপ্রেসওয়ের উপর দিয়ে দ্রুত গাড়ি চলে যাচ্ছে আর নিচে যানজট লেগে আছে। নিচের সড়কে শৃঙ্খলায় নজর দিতে হবে। সাইফুন নেওয়াজ বলেন, যানজট নিরসনে পাবলিক সার্ভিসকে গুরুত্ব দিতে হবে। শহরের রাস্তার যে কোন একটা লেন পাবলিক বাসের জন্য নির্ধারণ করে দেয়া যেতে পারে। সেটা হতে পারে রাস্তার বাঁ পাশের লেন। যাতে যাত্রী উঠা নামায় সুবিধা হয়। অন্য লেনগুলো অন্য গাড়ির জন্য উন্মুক্ত থাকলো। এই ক্ষেত্রে তিন লেনের সড়ক হলে সহজ হয়। 

আয়েশা সাঈদ বলেন, আমি যখন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতাম আমাদের ক্লাসে প্রফেসররা ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এবং প্লানিং নিয়ে লেকচার দিতেন। তখন প্রায় সময়ই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদাহরণ দিতেন। আমি তখন নিজেকে অনেক কৃতজ্ঞ বোধ করতাম যে প্রধানমন্ত্রী শুধু আমাদের দেশকেই নয় দেশের নাগরিকদেরও অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

যানজট ঢাকার দুঃখ উল্লেখ করে আয়েশা সাঈদ বলেন, বুড়িগঙ্গার কোল ঘেঁষে বেড়ে উঠেছে আমাদের প্রিয় রাজধানী। সুখ-দুঃখ আর আনন্দ-বেদনা নিয়েই কাটানো আমাদের এই শহরের নাম ঢাকা। নানা সুখের মধ্যে অন্যতম দুঃখের প্রধান কারণ যানজট। আমরা এখন এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেটে পৌঁছাতে পারছি মাত্র ৭-৮ মিনিটে। মেট্রোরেল চালু হয়েছে, আরো আসবে। সবগুলো মেট্রোরেল চালু হলে নাগরিক জীবন যাত্রা পুরোটাই বদলে যাবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App