×

জাতীয়

আসছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস-বসন্তবরণ, ফুলের দাম নাগালের বাইরে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম

আসছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস-বসন্তবরণ, ফুলের দাম নাগালের বাইরে

ছবি: সংগৃহীত

চলেই এলো বসন্তবরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। চলতি মাসের ১৪ তারিখেই উদযাপিত হবে দিবস দুটি। এর পরেই রয়েছে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বিশেষ এই দিবসগুলোকে ঘিরে জমজমাট ফুলের বাজার। মাত্র একদিনের ব্যবধানেই দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ শতাংশ।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রাজধানীর শাহবাগের ফুলের বাজারে গোলাপ, গাদাসহ বিভিন্ন কাঁচা ফুলের মৌ মৌ সুঘ্রাণে সুবাসিত চারপাশ। যদিও এমন চিত্র প্রতিদিনের। তবে বসন্তবরণ, বিশ্ব ভালোবাসা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ নানা আয়োজনকে কেন্দ্র করে আরো জমে উঠেছে ফুলের বাজার।

তবে ফুলের দাম বেশি থাকার বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, ‘আমি ১২০ টাকা দিয়ে একটি ফুলের তোড়া কিনেছি। আমি মূলত জারবারা কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু সেটি দাম বেশি হওয়ায় আমি অন্য ফুল কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’

গোলাপের দাম বেশি হওয়া নিয়ে আরেকজন ক্রেতা বলেন, ‘ফুলের দাম অনেক বেশি। বিশেষ করে গোলাপফুল তো ধরাই যাচ্ছে না।’

বাজারে ফুলের বেশি দামের বিষয়টি নিয়ে এক বিক্রেতা বলেন, ‘অনেক খুচরা বিক্রেতা ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুল কিনে মজুত করে রাখছেন। তাই এখন দাম বেশি রাখা হচ্ছে।’

ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য বলছে, একদিনের ব্যবধানে ৩০০ ফুলের এক বান্ডিল লাল গোলাপের দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা বেড়েছে। বিক্রেতারা হাঁকছেন ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। ধরনভেদে ৫০টি ফুলের এক আঁটির দাম নেয়া হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এছাড়া গাদা ফুল ৮০টির ঝোপায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে আড়াইশো থেকে ৩০০ টাকা।

এ বিষয়ে এক বিক্রেতা বলেন, ‘গতকাল ১০০ ফুল ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা।’

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফেব্রুয়ারি মাসেই ৩৫ শতাংশ ফুলের চাহিদা থাকে। তবে শীত ও কুয়াশার কারণে এবার উৎপাদন কম হওয়ার কথা উল্লেখ করে এক ব্যবসায়ী বলেন, সাধারণত প্রতিবছরই অনেক ফুল পাওয়া যায়। কিন্তু এবছর উৎপাদন ভালো হয়নি। ঠাণ্ডার কারণে ফুলে দাগ পড়ে গেছে। তাই দাম বেশি।

ঢাকা ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি শ্রী বাবুল প্রসাদ জানান, শীত ও কুয়াশায় এবার ফুলের উৎপাদন কম হওয়ায় বেড়েছে দাম। তবে আমাদের দেশে ফুলের চাহিদা অনুযায়ী আমরা শতভাগ উৎপাদন করতে পেরেছি। কিন্তু মানুষের চাহিদা তো আরো বেশি। আগে যেখানে ৫০ জন ফুল কিনতো। এখন ১০০ জন ফুল কিনছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ৩২ হাজার টনের বেশি ফুল উৎপাদিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার্স সোসাইটি বলছে, বর্তমানে দেশে দেড় হাজার কোটি টাকার ফুলের বাজার রয়েছে। আর ফুল প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত সহ-শিল্পের (ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ) ব্যবসা ধরলে এই বাজার প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার। একসময় দেশে শুধু গাঁদা, গোলাপ ও রজনীগন্ধা চাষ করা হলেও এখন ১৫-১৬ ধরনের ফুলের চাষ হচ্ছে। গত দু-তিন বছরে দেশে নতুন আরো তিন ধরনের ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। একসময় এই ফুল বিদেশ থেকে আমদানি হতো। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলছে, দেশের ফুল এখন রপ্তানি বাজার ধরার অপেক্ষায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App