×

জাতীয়

সম্পত্তির দ্বন্দ্বে ভাতিজার হাতে চাচা খুন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম

সম্পত্তির দ্বন্দ্বে ভাতিজার হাতে চাচা খুন

সাভারের আশুলিয়ায় গলাকেটে ব্যবসায়ী ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার কাজিমুদ্দিনকে ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন ও হত্যাকারী আব্দুল লতিফকে আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪।

গত বুধবার সকালে ঢাকার আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় লিপি ডেইরী ফার্মের বিশ্রাম রুম থেকে ফার্মটির স্বত্বাধিকারী কাজিমুদ্দিনের (৫০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ভিকটিমের স্বজন ও স্থানীয়রা হত্যাকাণ্ডটিকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বলে ধারণা করলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে খবর প্রকাশিত হয়। ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরো পড়ুন: রামেকে রোগীর ছেলেকে নির্যাতন, ২ চিকিৎসক বরখাস্ত

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-৪ এর একটি দল ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকারী সাভার এলাকার মৃত আলী মোহাম্মদ খানের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল লতিফ খাঁকে (৩২) গ্রেপ্তার করে। এসময় ভিকটিমের ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করে র‍্যাব।

র‍্যাব জানায়, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আবদুল লতিফ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে। লতিফ ভিকটিমের বড় ভাইয়ের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত লতিফের বাবা মৃত্যুবরণ করার পর থেকেই সে তার চাচাদের সাথে বসবাস করতো। গ্রেপ্তারকৃত লতিফের পৈত্রিক সম্পত্তি অংশীদারিত্ব নিয়ে ভিকটিম কাজিমুদ্দিনের সঙ্গে দীর্ঘ দিন যাবত বিরোধ চলছিল এবং প্রায় সময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হতো। গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ভিকটিম কাজিমুদ্দিনের নিজস্ব মালিকানাধীন ডেইরী ফার্মে তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে দেখতে যায়। ডেইরী ফার্মটি ভিকটিমের বাসার পাশে হওয়ায় ভিকটিম তার স্ত্রী ও সন্তানকে বাসায় পাঠিয়ে দেন এবং তিনি ডেইরি ফার্মের বিশ্রাম রুমে রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে অবস্থান করে।

পরবর্তীতে ওই দিনই মধ্য রাতে গ্রেপ্তারকৃত লতিফ ভিকটিমের ডেইরী ফার্মে এসে তার পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে কথা বললে ভিকটিমের সাথে তার বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে লতিফ উত্তেজিত হলে রুমে থাকা বটি নিয়ে ভিকটিমের গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করে।

আরো পড়ুন: এবার কম্পিউটার হ্যাক করে অভিনব প্রতারণা!

র‍্যাব জানায়, ঘটনাটি যেন কেউ বুঝতে না পারে সেজন্য ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে ভিকটিমের রুমের দরজা তালা দিয়ে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি পাশের রুমে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বুধবার সকালে ভিকটিমের স্ত্রী ফার্মে গিয়ে বিশ্রাম রুমের দরজা তালা দেয়া দেখে ধারণা করে যে, তার স্বামী ভিকটিম বাহিরে গিয়েছে। বিশ্রাম ঘরের চাবি ভিকটিমের কাছে এবং অপর একটি চাবি ভিকটিমের স্ত্রীর কাছে থাকতো। পরবর্তীতে ফার্মের কাজের লোক গরুর ঔষধ নেয়ার জন্য ভিকটিমের স্ত্রীর নিকট থেকে রুমের চাবি নিয়ে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলে ভিকটিমের গলাকাঁটা নিথর দেহ ঘরের বিছানার উপরে দেখতে পায়।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রেপ্তারকৃত লতিফ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে সাভারের আশুলিয়া এলাকায় আত্মগোপন করে। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় র‌্যাব কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App