×

জাতীয়

মোহাম্মদপুরে জমি বিক্রি না করায় দখলের চেষ্টা, গ্রেপ্তার ১

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০০ পিএম

মোহাম্মদপুরে জমি বিক্রি না করায় দখলের চেষ্টা, গ্রেপ্তার ১

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগে তাজবীর হোসেন (৪৬) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে মোহাম্মদি হাউজিংয়ের নবীনগর প্রজেক্ট এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ বলছে, বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় ফেরদৌসি বেগম নামের এক নারীর ৬ শতাংশ জমি দখল করতে চেয়েছিলেন কয়েকজন। পরে ওই নারীর ছেলে বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুল হক ভুঞা জানিয়েছেন, ফেরদৌসি বেগমের জমিতে আসামিরা জোর করে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছে বিজিপির আরো ১১৪ সদস্য

তাজবীর হোসেন ছাড়া মামলার বাকি তিন আসামি হলেন- আব্দুর রহমান, হিরন ও রাজু। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ফেরদৌসি বেগমের জমির দেয়াল ভেঙ্গে ফেলেন। জমির ভেতরে থাকা গাছও কেটে ফেলা হয়। এ ছাড়া ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। 

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার তাজবীর হোসেন স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে মিশে জমি দখল শুরু করেন। তিনিসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে জমি দখলের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় থেকে তারা দীর্ঘদিন ধরে এমন অপরাধ করে আসছিলেন।

ফেরদৌসি বেগমের ছেলে ফোরকানুর রহমান বলেন, ২০০৩ সালে তার মা জমিটি কিনেছিলেন। জমির দেয়ালটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় গত ৪ ডিসেম্বর থেকে নতুন করে দেয়াল তৈরির কাজ শুরু করা হয়।

আরো পড়ুন: প্রথমবারের মতো শুরু হতে যাচ্ছে 'সেইফ ফুড কার্নিভাল'

ফোরকানুর রহমান বলেন, প্রথম দিন কাজ শেষ করে বাসায় চলে যাই। পরের দিন এসে দেখি আমাদের ইটবালু দিয়ে রাতের মধ্যে দেয়াল তুলে সেখানে ল্যান্ডমার্ক কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের নামে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে আসামিরা পাহারা বসিয়েছেন। পরে আমরা থানায় অভিযোগ করি। পরের দিন সেই সাইনবোর্ড পরিবর্তন করে আবদুর রহমান গং নামের আরেকটি সাইনবোর্ড দেয়া হয়। দুটি সাইনবোর্ডে একই মুঠোফোন নম্বর দেয়া ছিল।

অভিযোগ করে ফোরকানুর রহমান বলেন, মামলার আসামি আবদুর রহমান অনেক দিন ধরেই জমিটি কিনবেন বলে প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। তখন তিনি জমি বিক্রি করতে রাজি হননি। তারপরও আবদুর রহমান জমিটি কেনার জন্য জোরাজুরি করছিলেন।

আসামিরা জমির মালিকানা দাবি করায় তাদের সঙ্গে থানায়ও বসেছিলেন তিনি। তবে নিজেদের দাবির সপক্ষে তারা কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App