আদালতপাড়ায় গৃহবধূকে গণধর্ষণে দুজন কারাগারে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:২২ পিএম
ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণের এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলায় দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামিরা হলেন-ফজলুল হক ও রুবেল।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আমানউল্লাহ জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কোতয়ালী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কালাম এ তথ্য জানান।
এর আগে, ওই গৃহবধূ কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে স্বামীর সাথে বাদীর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। খবর নিয়ে জানতে পারেন, তার অনুমতি ব্যতীত ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছে স্বামী। স্বামীর খবর নেয়ার জন্য এক মাস ঢাকায় তার স্বামীর ভাড়া বাসা মোহাম্মদপুর থানাধীন মন্দির গলি হেলালের বাড়ির ৫ম তলায় উঠেন। স্বামীর সঙ্গে ২০/২৫ দিন থাকার পর তাকে মারপিট করে। পরে তিনি মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করতে যান। জিডির খবর পেয়ে তার স্বামী বাসা ছেড়ে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ বগুড়া চলে যান। বাদী তখন তার গ্রামের বাড়িতে চলে যান।
আরো পড়ুন: জালিয়াতি চক্রের ৩ জন গ্রেপ্তার
গত ২১ জানুয়ারি তিনি আবার ঢাকায় আসেন। ২৮ জানুয়ারি দুপুর ২ টার দিকে ঢাকার সিএমএম কোর্ট চত্বরে যান। সেখানে গিয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য একজন আইনজীবী খোঁজ করার সময় আসামি মো. ফজলুলের সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি তাকে তার পরিচিত একজন ভালো আইনজীবী আছে বলে জানায় এবং তার সঙ্গে যাওয়ার জন্য বলে। বাদী আসামির কথায় বিশ্বাস করে একজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার জন্য ২৮ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটায় দিকে কোতয়ালী থানাধীন ঢাকার সিজেএম কোর্টের মেইন গেইট সংলগ্ন পানির পাম্পে ফজলুলের থাকার রুমে নিয়ে যায়। ফজলুল তাকে রুমের ভেতরে বসিয়ে রেখে আইনজীবীকে ডেকে নিয়ে আসর জন্য বাইরে যায়।
কিছুসময় পর ফজলুল তার হাতে চারটি ওয়ান টাইম চায়ের কাপসহ আসামি রুবেল ও অজ্ঞাতনামা আরও একজন আসামিসহ ওই রুমের ভিতরে এসে ফজলুল একটি ওয়ান টাইম কাপে বাদীকে পান করার জন্য এক কাপ চা দেয়। বাদী চাপান করার পর তার নিদ্রাচ্ছন্ন ভাব আসে। পরে আসামিরা তাকে গণধর্ষণ করেন।