বকেয়া বেতন চাওয়ায় রাজধানীর বাড্ডা আফতাবনগরে ইস্টার্ন হাউজিংয়ে মোশারফ হোসেন (৪৮) নামে এক নিরাপত্তা কর্মীকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার মাথায় ৮ থেকে ১০ টি সেলাই পড়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ইস্টার্ন হাউজিং এইচ ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ৩০ নম্বর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

আহত মোশারফ হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার পরিচিত মো. বিল্লাল হোসেন আহতের বরাত দিয়ে জানান, ওই বাড়িটির নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে এক বছর যাবত কাজ করে আসছিলেন মোশারফ। গত কয়েক মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে তার। সেই বেতনের টাকা চাইতে ফ্লাট মালিক ফজলুল হকের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে যান মোশারফ। এতেই ক্ষিপ্ত হন ফজলুল। আসছি বলে মোশারফকে তখন নিচে যেতে বলেন। এর পরেই ফজলুল হক এবং তার এক ভাতিজা রড, ধারালো অস্ত্র নিয়ে নিচে গেটের সামনে আসেন। ফজলুল হকের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোশারফের মাথায় আঘাত করে। আর তার ভাতিজা রড দিয়ে মোশারফের পায়ে এবং হাতে পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে আহত অবস্থায় ফেলে সেখান থেকে চলে যায়।

খবর পেয়ে তিনি মোশারফকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি বাড্ডা থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফজলুল হক বলেন, মোশারফের অভিযোগ সবই মিথ্যা। বরং গতকাল রাতেও গেটে তালা দিয়ে রেখেছিল আমাকে বের হতে দেয়নি। আজকে সকালেও আমি যখন বের হতে যাই তখন গেটে তালা দিয়ে রাখে আমাকে বের হতে দেয়নি। এক পর্যায়ে সে মাছ কাটার দা নিয়ে আসে। তখন ধাক্কাধাক্কিতে সে পড়ে গেলে গেটের সাথে ধাক্কা লেগে তার মাথায় আঘাত পেয়েছে।

তবে গেটে তালা দিয়ে কেন তাকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না বা দেয়নি সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।