নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সার্বিক পরিবেশে আমেরিকার বিনিয়োগের আগ্রহ আছে। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার আগ্রহও রয়েছে। এই আগ্রহ থেকে বোঝা যায়, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কি পর্যায়ে রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হ্যাসের সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এসময় মার্কিন দূতাবাসের ইকোনমিক অফিসার জেমস গার্ডিনার উপস্থিত ছিলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে মাঠে যে কথাগুলো শুনছি বা আলোচনা হচ্ছে, বাস্তব কার্যক্রমের সঙ্গে এগুলোর কোনো মিল দেখছি না। বাংলাদেশের সার্বিক পরিবেশে আমেরিকা বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হ্যাস আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তিনি দেশ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজের প্রশংসা করেছেন। শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনা ও উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার বিষয়গুলো তুলে ধরে প্রশংসা করেছেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর কার্যক্রমেরও প্রশংসা করেছেন। এসব প্রশংসা সরকারের সামগ্রিকভাবে কার্যক্রমের উন্নয়নের প্রশংসা। এসবের মধ্য দিয়ে বোঝা যায় বাংলাদেশ সম্পর্কে আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশের দৃষ্টিভঙ্গিটা কি?

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মেরিটাইম সেক্টরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছুদিন আগে আমাদের আমেরিকার সফরের সময় অভ্যন্তরীণ নৌপথ এবং মেরিটাইম সেক্টরে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছিলো। সেসময় আমেরিকান ব্যবসায়ী ও এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশের বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলো। সেসব বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমেরিকা মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দর, মোংলা বন্দর ও পায়রা বন্দরে বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ফায়ার ফিটিংসের চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে সহযোগিতার আগ্রহ দেখিয়েছে। দেশে হঠাৎ বন্যা ও ন্যাচারাল ডিজাস্টারে কাজ করতে আমেরিকার সহযোগিতা চেয়েছি, তারা সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আই এস পি এস কোড মেনে চলার ক্ষেত্রে আমেরিকার কোস্টগার্ড মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ভিজিট করেছে। তারা পায়রা বন্দর ভিজিট করবে। বিভিন্ন ধরনের ড্রেজার সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ রয়েছে।