×

জাতীয়

অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণই কাল হলো জেপি নেতা সালামের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৩, ০১:২৩ পিএম

অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণই কাল হলো জেপি নেতা সালামের

জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতা সালাম বাহাদুর ওরফে আব্দুস সালাম মিয়া ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতা সালাম বাহাদুর ওরফে আব্দুস সালাম মিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীসহ মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার গাজিন্দা এলাকায় মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত ২ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজন সম্পর্কে মা-মেয়ে। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার কলেজ গেটে এলাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ফেলে যাওয়া জেপি নেতা সালাম বাহাদুর ওরফে আব্দুস সালাম মিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তেজগাঁও ডিভিশনের উপ কমিশনার (ডিসি) এর কার্যালয়ে বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের ডিসি এইচ এম আজিমুল হক বলেন, গত ১৫ জুলাই রাত ১১টার দিকে শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। জানা যায়, নিহত ব্যক্তির নাম সালাম বাহাদুর ওরফে আব্দুস সালাম মিয়া (৬০)। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার। এই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তে নেমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে সব ক্যামেরা অকার্যকর পায়। পরে পরিবার ও মোবাইল ট্রাকিং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার নারীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের বরাত দিয়ে ডিসি আজিমুল হক বলেন, নিহত সালামের সঙ্গে মেয়েটির সঙ্গে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি সুপার শপে ৫-৬ বছর আগে পরিচয় হয়। চাকরি দেয়ার কথা বলে হওয়া পরিচয় থেকে অনৈতিক সম্পর্কে রুপ নেয়। আর এই সম্পর্কে বিভিন্ন মুহূর্ত গোপনে ধারণ করে রাখেন সালাম।

এরপর শুরু হয় ব্লাকমেইল। সালামের এমন কাজে দিশেহারা মেয়েটি ঢাকা ছেড়ে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে নিজ বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু সালামের ব্লাকমেইল চলতেই থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ জুলাই বিকেলে সালাম মেয়েটির বাড়িতে যায়। সে যাওয়ার আগে স্থানীয় কয়েকজনকে বিষয়টি জানায় মেয়ের পরিবার। সালাম মেয়েটির বাড়িতে যাওয়ার পরেই শুরু হয় নির্যাতন। স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় সালামের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য বারবার নির্যাতন করা হয়।

পরবর্তীতে সালাম গুরুতর অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনার পথে মৃত্যু হয়। সালামের মৃত্যুর বিষয়টি টের পেয়ে অন্যরা নেমে যায়। এরপর গ্রেপ্তার মেয়ের মা সালামের লাশ গাড়িতে করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ফেলে পালিয়ে যায়। লাশ উদ্ধার শেষে নিহত সালামের শরীরে বিভিন্ন ক্ষত ও আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায় পুলিশ। গ্রেপ্তার মা-মেয়েকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

  আরও পড়ুন:

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App