সোহেল জমাদ্দার ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রায়াপুর বটতলা এলাকার বাসিন্দা হাফিজ জমাদ্দারের ছেলে। তিনি ঢাকার সাইফ স্পোটিং ক্লাবের অনূর্ধ্ব ১৭ দলের গোলরক্ষক ছিলেন। তার স্ত্রী ও আট মাস বয়সের একটি ছেলে রয়েছে।

প্রেমিকাকে আত্মহত্যার প্রস্তুতির ছবি পাঠিয়ে স্টেডিয়ামের নির্মাণাধীন ড্রেসিং রুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের বান্দ রোডে শহীদ আবদুর রব স্টেডিয়াম নির্মাণাধীন ড্রেসিং রুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সোহেলের বোন শান্তা ইসলাম জানান, বিয়ের আগে নগরীর বেসরকারি নার্সিং কলেজের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে সোহেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় সোহেলকে অন্যত্র বিয়ে করানো হয়। অতি সম্পতি সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে ফের সম্পর্কে জড়ায় তিনি। এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি ছিল।

শান্তা আরো বলেন, রোববার খেলা থাকায় শনিবার স্টেডিয়ামে যায় সোহেল। ওইদিন সন্ধ্যার পর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরে তার প্রেমিকা জানান, সোহেল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবে জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমোতে দড়ি ও একটি মই- এর ছবি তাকে পাঠিয়েছে। শনিবার রাতে তাকে ভিডিও কলে রেখে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। রোববার সকালে বিষয়টি জানার পর পুলিশ স্টেডিয়ামে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সোহেল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফাঁস নেওয়ার পর দড়ি ছিঁড়ে নিচে পড়ে যাওয়ায় তার মাথা ফেটে গেছে। তিনি আত্মহত্যার আগে প্রস্তুতির কয়েকটি স্থির চিত্র তার প্রেমিকাকে পাঠান। তার প্রমাণও পাওয়া গেছে। ছবি পাওয়ার পর তার প্রেমিকা বিষয়টি অন্য বন্ধুদের জানান। তবে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেছেন এমন গুঞ্জন থাকলেও এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি।

তিনি আরো বলেন, মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোহেলের পরিবার থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে তার প্রেমিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।