×

জাতীয়

চীনের লেজুড় নয় বাংলাদেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৩, ০১:২৩ পিএম

https://www.youtube.com/watch?v=5HPsy6X2pTQ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, শ্রীলঙ্কার ঘটনার প্রেক্ষিতে অনেক পন্ডিতরা মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বোধ হয় চীনের খপ্পরে পড়ে গেল। কারণ বাংলাদেশ চীন থেকে অনেক বেশি ঋণ নিয়েছে। অথচ চীন থেকে বাংলাদেশ এতো ঋণ নেয়নি। বরং আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছে। কেউ কেউ হয়তো ভেবেছে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ চীনের দিকে ধাবিত হয়ে যাচ্ছে। পরিষ্কার করে বলতে চাই, বাংলাদেশ চীনের লেজুড় নয়। আমরা কারো লেজুড়বৃত্তি করতে চাই না। শনিবার (৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ডিকাব টকে এসব কথা বলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভূরাজনীতির কারণে অনেকের নজর বাংলাদেশে। আমরা কাউকেই দেইনি। দিলেই অনেকের আনএনাউন্স স্টেশন হয়ে যাবে এখানে। এখন পর্যন্ত না দিয়ে আছি। দোয়া করবেন যাতে এগুলো থেকে উত্তরণ করতে পারি। ভারত প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফরেন পলিসিতে ভারত আমাদের একনম্বর বন্ধু। এই সম্পর্কে গভীরতা থাকায় তাদেরও উন্নতি হচ্ছে আমাদেরও হচ্ছে। উন্নয়নের ফলে কয়েক লাখ বাঙালি বেড়াতে যান। তাদের কিছু লোক এখানে কাজ করতে আসছেন। তিনি আরও বলেন, অন‍্যান‍্য দেশের সঙ্গেও আমাদের সুসম্পর্ক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক চান। এজন‍্য একের পর এক বাংলাদেশে লোক পাঠাচ্ছেন। চীনও আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। সব দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো ভালো হয়েছে। সম্পর্কে উন্নতি আসায় ব‍্যবসা-বাণিজ্য বেড়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমরাও চাই। সরকারও চায় ফ্রি এন্ড ফেয়ার ইলেকশন। আমেরিকাতে আড়াইশ বছরের গণতন্ত্র। তারপরও দুর্বলতা আছে। সেখানকার লোকরাই বলে। এরপরেও তারা বাংলাদেশে আসছে। আসুক। তারা দেখবে বিশ্বের মডেল নির্বাচন হচ্ছে বাংলাদেশে। আমরা মিয়ানমার মার্কা নির্বাচন করতে চাই না, যারা আসতে চান তারা আসুন। আমাদের লুকানুর কিছুই নেই। তারা কেউ কেউ হয়তো নির্বাচন বানচাল করতে চান। এটি করলে দেশের অমঙ্গল আসবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া যাতে কেউ ধ্বংস করতে না পারে সেটা নিয়ে ভয়। ভোট নিয়ে কোনো চাপ নেই। আমরা জিয়া সাহেবের হ‍্যাঁ, না ভোটে যেতে চাই না। আমরা আমাদের নিজেদের তাগিদেই স্বচ্ছ ও সুন্দর ভোট করব। নির্বাচন নিয়ে অনেকেই বড় বড় কথা বলছেন। তারা বলছেন, ইলেকশন করতে দেবেন না। তবে কারা কারা এই কথা বলেছেন তাদের নাম প্রকাশ করেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশ নিয়ে রাশিয়ার বক্তব‍্যের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি ওদের বক্তব‍্য। আমরা কিছু জানি না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের চিঠি ভুলে ভরা। তবু তিনি যা বলেছেন তাতে আমাদের আপত্তি নেই। তিনি সংলাপের কথা বলেছেন। তাতেও আমাদের আপত্তি নেই। তবে আমরা কোনো সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে কথা বলতে চাই না। মার্কিন ভিসানীতির প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে আমাদের মাথাব‍্যথা নেই। ভোটকর্মীরা মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে তাদের এতো চিন্তা নেই। কিছু সরকারি কর্মচারি ও ব‍্যবসায়ীদের এই নিয়ে মাথাব‍্যথা রয়েছে। আরও পড়ুন:

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App