×

জাতীয়

সংসদে তিন বিল পাস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৩, ০৯:২৩ পিএম

সংসদে তিন বিল পাস
জনশৃঙ্খলা, পরিবেশ ও নৈতিকতা পরিপন্থি এবং জাতীয় প্রতীকের সমন্বয়ে গঠিত কোন শিল্প-নকশা মালিকানা স্বত্ব পাবে না, এমন বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ শিল্প-নকশা বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। বিরোধী দলীয় সদস্যরা বিলের উপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করলেও তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। দ্যা পেটেন্ট এন্ড ডিজাইন অ্যাক্ট-১৯১১ রহিত করে নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে গত পহেলা নভেম্বর সংসদে বিলটি তোলা হয়েছে। এর আগে বিলটি গত ২৫ জুলাই মন্ত্রীসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। বিলে বলা হয়, আইনের অধীনে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফি দেয়া সাপেক্ষে শিল্প-নকশার নিবন্ধনের মেয়াদ হবে ৫ বছর। কারো যদি এক্সক্লুসিভ এক্স্রা অর্ডিনারি কোন রকম কিছু থাকে, তাহলে তিনি দরখাস্ত দিলে আরো ৫ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো যাবে। সংসদে পাস হওয়া বিলের বিধান অনুযায়ী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে যদি শিল্প-নকশা নিবন্ধিত হয়, অন্য কেউ প্রতারণামূলকভাবে যদি তা ব্যবহার করে, তবে মালিক ক্ষতিপূরণ পাবেন। যিনি চুরি বা নকল করবেন তাকে আইনানুযায়ী সাজা ভোগ করতে হবে। সিভিল আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কস রেজিস্ট্রার অধিদফতর ছিল, নতুন আইনেও সেটা বহাল থাকছে। এই অধিদফতরের অধীনে একটি শিল্প ইউনিট থাকবে। এই আইনের অধীনে শিল্প-নকশা নিবন্ধন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শেখ রাসেল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি রংপুর বিল-২০২৩ পাস বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে শেখ রাসেল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি রংপুর বিল-২০২৩ পাস হয়। বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপণ করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপণ ভট্টাচার্য। পরে বিরোধীরা বিলটিতে কিছু সংশোধনী দেন এবং বিলটি জনমত যাচাই করার কথা বলেন। তবে বিলটি পাসের জন্য সংসদে ভোটে দিলে তা ধ্বনী ভোটে পাস হয়ে যায়। এসময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন। বিলটির উদেশ্যে ও কারণ সম্পর্কিত বিষয়ে স্বপন ভট্টাচার্য জানান, গ্রামীণ জনগোষ্টির টেকসই জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য বিলটি আনা হয়েছে। এর ফলে রংপুরের সংশ্লিষ্ট এলাকা সহ দেশের দারিদ্র বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক বৈষম্য দূর করার জন্য প্রশিক্ষণ, প্রায়োগিক গবেষণা, ক্ষুধামুক্তি ও দারিদ্র বিমোচন সহ দেশ গড়ার সম্ভাবনার দার উম্মোচন হবে বলে এবং এসব জনগোষ্ঠিতে রুপান্তর করে তাদেরকে উন্নয়নের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। স্টেট একুইজিশন এণ্ড টেনেনসী বিল পাস বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে চলতি অধিবেশনের শেষ দিনে আরো একটি বিল পাস হয়। বিলটি হলো স্টেট একুইজিশন এণ্ড টেনেনসী বিল-২০২৩ । ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বিলটি আরো যাচাই বাছাই করার জন্য কমিটিকে ফেরৎ পাঠানো এবং বেশ কিছু সংশোধনী দেন। কিন্তু তাদের সংশোধনীগুলোর ১টি বাদে বাকিগুলো ভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিরোধীরা বলেন, দেশে যে সব মামলা মকদ্দমা, খুনোখুনী তার অধিকাংশই সৃষ্টি ভূমি নিয়ে। আর আমাদের উপজেলা জেলা ভূমি কর্মকর্তারা অফিসগুলো ঘুষ খেয়ে একজনের জমি অন্যকে পর্চা করে দিচ্ছে। একজনের সঙ্গে অন্যদের বা ভাইয়ে ভাইয়ে মারামারি, প্রতিবেশীর সঙ্গে যত গণ্ডোগোল সবই জমিজমা সংক্রান্ত। তাই এসব দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বিরোধী সংসদ সদস্যরা। আবার ভূমি অধিগ্রহণের যেসব সমস্যা তা দূর করে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম শেষ করার আহ্বাণ জানান বিরোধীরা। পরে বিলটি ভোটে দিলে সংসদে বিলটি স্থিরীকৃত আকারে পাস হয়ে যায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App