×

জাতীয়

কয়লা সংকটে বন্ধ পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৩, ০১:৪৫ পিএম

কয়লা সংকটে বন্ধ পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট

ছবি; সংগৃহীত

কয়লা সংকটের কারণে কয়েকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। বর্তমানে যে পরিমাণ কয়লা মজুদ আছে তা দিয়ে দ্বিতীয় ইউনিটটি দুই জুন পর্যন্ত চলতে পারবে।ডলার সংকটে কয়লার দাম পরিশোধ করতে না পারায় সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

কর্তৃপক্ষ জানান, নতুন করে কয়লা আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকার যৌথভাবে ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। দুএকদিনের মধ্যেই এলসি খোলা হবে। জুনের শেষে কয়লা এলে আবার পুরোপুরিভাবে চালু করা হবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

উৎপাদনে আসার পর এই প্রথম পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে। তবে এর আগে ডলার সংকটে কয়লা না কিনতে পারায় রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রও দুই দফা বন্ধ হয়েছিল।

পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের একটি ২৫ মে বন্ধ করা হয়। ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বাকি আরেকটি ইউনিট চলবে ২ জুন পর্যন্ত। কয়লা না থাকায় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হবে দেশের বৃহত্তম এ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি।

পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব জানান, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এতে নতুন করে কয়লা সরবরাহ করতে পারবেন তারা। দুএকদিনের মধ্যেই এলসি খোলা হবে। তবে এলসি খোলার পরও কয়লা আসতে অন্তত ২৫ দিন সময় সময় লাগবে। এ সময় বন্ধ থাকবে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এরপর কয়লা এলে জুনের শেষ সপ্তাহে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।

চিন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে ২০২০ সালে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু হয়। কেন্দ্রটি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে ঋণ দেয় চীনা অংশীদার চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি)। এপ্রিল মাস পর্যন্ত বকেয়া বিল দাঁড়ায় প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন ডলার। এ বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সিএমসি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App