×

জাতীয়

লোম বাছতে গিয়ে কম্বল উজাড় করতে চাই না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৩, ০৩:৩২ পিএম

লোম বাছতে গিয়ে কম্বল উজাড় করতে চাই না

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গকারীদের শাস্তির আওতায় আনার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘লোম বাছতে গিয়ে যদি কম্বল উজাড় করে ফেলি সেটা খুব বাস্তব হবে না। সোমবার (১৫ মে) জাতীয় পার্টির (জাপা) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এমন মন্তব্য করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারর বলেন, সভাটা অনেকটা সৌজন্যমূলক ও নির্বাচন বিষয়ক। উনারাই সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন। জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা জানিয়ে আমাদের বলেছেন- উনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এ জন্য আমরা উনাদের ধন্যবাদ দিয়েছি। সিইসি বলেন, ভোট অসংখ্য আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে। সবকিছু আমলে নেয়ার মতো হবে না। কারণ হচ্ছে লোম বাছতে গিয়ে যদি কম্বল উজাড় করে ফেলি সেটা খুব বাস্তব হবে না। আমি বলেছি, দিন শেষে মানুষ যেটা জানবে যে নির্বাচনটা কেমন হলো। সিইসি বলেন, নির্বাচনটা ভালো হবে এটা আমরা দৃশ্যমান করতে চাচ্ছি। আমরা আশাবাদী সরকারের সদিচ্ছা থাকবে এবং মহাসচিবকে বলেছি প্রতিদ্বন্দ্বিতা আপনাদের করতে হবে। ভালোভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেন তাহলেও নির্বাচনের শুদ্ধতা বিঘ্নিত হতে পারে। আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশন এককভাবে কখনোই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে না, যদি সংশ্লিষ্ট সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো এবং একইসঙ্গে সরকারের যে প্রশাসন, পুলিশ আন্তরিকভাবে সহযোগিতা না করে। এতে নির্বাচন কমিশনের যে দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা তা সীমিত হয়ে পড়তে পারে। এটা আমরা উনাদের বলেছি। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএমে সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না, এতে উনারা খুশি। তবে এতে অনেক কিছু আছে বলেছে, আমরা তা মেনে নিইনি। আমরা বলেছি, তাহলে ১৮ সালের নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি। কারণ সেটা ইভিএমে নয়, ব্যালটে হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ব্যালটে নির্বাচন হলে কোনো অনিয়ম হবে না। যেমন ১৮ সালেও হয়নি, আগামীতেও হবে না। ব্যালটে হোক আর ইভিএমে হোক আমরা চেষ্টা করবো নির্বাচনটা যাতে শুদ্ধ হয়। পুলিশের ভূমিকার কথা উনারা বলেছেন পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ পুলিশ সরকারিভাবে এটা করে না। স্থানীয়ভাবে যে নির্বাচন হয়, সেখানে পুলিশকে পক্ষাশ্রীত করার জন্য প্রার্থীরাই চেষ্টা করে থাকে। সেখানে পুলিশকে কীভাবে নিউট্রোলাইজ করা যায়, সেজন্য উনারা আমাদের সহায়তা চেয়েছেন। আমরা বলেছি, আমরা চেষ্টা করবো এবং সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করবে, সেটা সরকারকেও করতে হবে। পাঁচ সিটিতে সুষ্ঠু ভোটের শঙ্কা জাপার। সরকারি দলের প্রার্থীরাই আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বেশি, সরকারের সহায়তা পাবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর সরকারের তরফ থেকে কোনো নির্বাচনে হস্তক্ষেপ পাইনি। এটি হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের যে সহায়তা এখন পর্যন্ত যা পেয়েছি উনারা যদি একটা নিউট্রাল অবস্থানে থাকেন তাহলে আমাদের পক্ষে নির্বাচন ভালোভাবে করা সম্ভব হবে। আমাদের তরফ থেকে সরকারের ওপর চাপটা থাকবে। নেগেটিভ কোনো বিষয় যদি আমরা দেখি যে ঐক্যমত হয়েছে, তাহলে আমরা বিষয়টি দেখবো। স্বচ্ছতার সার্টিফিকেট আমি তো প্রশাসন থেকে নেব না, মিডিয়া থেকে নেব, তাই গাজীপুরে বলে এসেছি আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকে মিডিয়াকে যেন কোনো বাধা দেয়া না হয়। আমরা মিডিয়ার ভূমিকাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App