মহাবিপদের বার্তা নিয়ে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। 

মোংলা বন্দরের সভাকক্ষে রবিবার (২৬ মে) সকাল পৌনে ১০টায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমানের সভাপতিত্বে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় সর্বশেষ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সভায় নিশ্চিত করা হয়, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

মোংলা বন্দরের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন্দরের সব ধরনের অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

বর্তমানে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়ায় ৩, ৫, ৭, ৯,  ১১ ও বেসক্রিক ৪ এ ১টি জাহাজসহ মোট ৬টি বিদেশি জাহাজ রয়েছে। বন্দরে অবস্থানরত এসব বিদেশি জাহাজের সঙ্গে ভিটিএমআইএস এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। চ্যানেল অবস্থানরত লাইটার ভেসেল ও ড্রেজার গুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

বন্দরে থাকা ২০৭১টি গাড়ি সুরক্ষার জন্য বন্দরের বিভিন্ন শেড, ওয়ার হাউজ ও কার ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে। বন্দরের জেটি এলাকার অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ও অন্যান্য কার্গোসমূহকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সিঙ্গেল টায়ারে সুশৃঙ্খলভাবে সাজিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। কার্গো হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্টগুলোকে ইকুইপমেন্ট ইয়ার্ডে সঠিকভাবে বেধে রাখা হয়েছে। যাতে ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। 

আপদকালীন পরিস্থিতি/কোন জাহাজ ঝড়ের কবলে পড়লে তাৎক্ষনিক মোংলা বন্দরের দুইটি টাগবোট ও দুইটি রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

মার্চেন্ট শিপ ও নেভি শিপগুলোতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে। মোংলা বন্দর এলাকার ২৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয়ক সার্বিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে বলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।