×

জাতীয়

জলবায়ু বিপর্যয় থেকে সুন্দরবন সুরক্ষায় কাজ করছে সরকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৪২ পিএম

জলবায়ু বিপর্যয় থেকে সুন্দরবন সুরক্ষায় কাজ করছে সরকার

বুধবার পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও করণীয় শীর্ষক জাতীয় সংলাপে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুন্দরবন ও উপকূল রক্ষায় কাজ করছে সরকার। দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনের সুরক্ষা, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণসহ বিভিন্ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে জলবায়ু ক্ষতিপূরণ আদায়ে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনস্থ পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও করণীয় শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন লিডার্স এবং নাগরিক সংগঠন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন আয়োজিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। সংলাপে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও সৈয়দা রুবিনা আক্তার এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করবেন লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)’র সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, কার্ক ইন একশন প্রতিনিধি মাটিলদা টিনা বৈদ্য, মানুষের জন্য ফাউণ্ডেশনের আহসান ওয়াহিদ, স্ক্যান বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, সিসিডিবি’র শেখ আব্দুল আলীম, অক্সফামের মাহবুব-উল হাসান, সুইস কন্ট্রাক্টের মো. শাহিদুজ্জামান পুলক, ওয়াল্ড কনসার্স বাংলাদেশের মসী মণ্ডল, ফেইথ ইন একশানের নির্বাহী পরিচালক নৃপেন বৈদ্য, সাতক্ষীরার নাগরিক নেতা আনিসুর রহিম, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ, সাতক্ষীরার ভূক্তভোগী মাধবী রানী মণ্ডল, বাগেরহাটের আজাদুল হক প্রমুখ।

সংলাপে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সুন্দরবনসহ উপকূলীয় এলাকার ঝুঁকি নিরুপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ঝুঁকি মোকাবেলায় বিভিন্ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের বিকাশে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তিনি এ সকল বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে কাজ করার আহ্বান জানান।

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রকল্প গ্রহণে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। তিনি বলেন, বিগত দিনে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প নিলেও সেই সকল প্রকল্প জনজীবনে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় ভূমিকা রাখতে পারছে না। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী ভুক্তভোগী জনগণের মতামতের ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সুন্দরবন রক্ষায় আন্তরিক। তবে সরকারের এই কাজে জনগণের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।

সরকারের প্রকল্প গ্রহণে কারসাজির অভিযোগ উত্থাপন করেন সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তিনি বলেন, নদী খনন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন প্রকল্প নেয়া হলেও তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আবার বিশেষ ঠিকাদারকে কাজ দেয়ার জন্য বিশেষ ভাবে প্রকল্পের ডিপিপি দেয়া হয়। এমনকি মন্ত্রীদের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তাদের অনীহা দেখা যায়।

উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নে পৃথক বোর্ড গঠনের প্রস্তাবের উপর গুরুত্বারোপ করে সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নে বড় বাঁধা সমন্বয়হীনতা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App