ইসি গঠনে প্রস্তাবিত নামের তালিকা সোমবার বিকেলে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। পাশাপাশি যেসব রাজনৈতিক দল এখনো নাম দেন‌নি আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে তাদেরকে নাম পাঠানোর অনুরোধ জানান তিনি । রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সার্চ কমিটির বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ জানান।

এদিন বিকেল ৪টায় সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স কক্ষে দ্বিতীয় দিনের মতো বিশিষ্ট নাগরিকদের মতামত নিতে তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করে সার্চ কমিটি। এ বৈঠকে ২৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার পদে যোগ্য লোক খুঁজতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিশিষ্টজনদের মতামত নিচ্ছে সার্চ কমিটি। এর আগে শনিবার দুই দফা ২৫ জন বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত নিয়েছে। সকল শ্রেণি পেশার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তীতে নিজেরা আর এক দফা বৈঠক করবে সার্চ কমিটি। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য দুই জন ও অন্য চার কমিশনার পদের জন্য দুই জন করে ৮ জনের নাম প্রস্তাব করবে সার্চ কমিটি। সেই ১০ জন থেকে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার জন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। গঠিত হবে নতুন নির্বাচন কমিশন। যে কমিশন আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন পরিচালনা করবে।

বর্তমান ইসির মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম আইন অনুযায়ী ইসি গঠিত হচ্ছে। গত ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়। আর ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।

সার্চ কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সার্চ কমিটির সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সাচিবিক সহায়তা দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

যে ২৩ বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত উপস্থিত হয়েছেন তারা হলেন-সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার আব্দুল মোবারক, লেফট্যান্টে কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম আবদুল আজিজ, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর-এর ট্রাস্টি মফিদুল হক, অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, কবি মহাদেব সাহা, গীতিকার ও সুরকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, অধ্যাপক ডা. উবায়দুল কবির চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, সাবেক এডিশনাল আইজিপি নুরুল আলম, অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দীন ইউসুফ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট-এর গোলাম কুদ্দুছ, লেখক ও সাংবাদিক হারুন হাবীব, প্রজন্ম৭১-এর আসিফ মুনির ও ডা. নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ।