×

আন্তর্জাতিক

ভূমধ্যসাগরে ৬০ অভিবাসীপ্রত্যাশীর মৃত্যু

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৪, ১১:০৭ এএম

ভূমধ্যসাগরে ৬০ অভিবাসীপ্রত্যাশীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাবারের তৈরি একটি ডিঙ্গি নৌকায় করে লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার সময় অন্তত ৬০ জন অভিবাসীপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্য ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার হওয়া নৌকাটি থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে তারা লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন।

এসওএস মেডিটেরিয়ানি বলেছে, বুধবার ইতালির কোস্টগার্ডের সঙ্গে সমন্বিতভাবে ২৫ জনকে খুব দুর্বল অবস্থায় উদ্ধার করেছে গোষ্ঠীটি। দুই অচেতন ব্যক্তিকে হেলিকপ্টারে করে সিসিলিতে নেয়া হলেও পরে তারা মৃত্যুবরণ করেন।

এসওএস মেডিটেরিয়ানি এক্স বার্তায় জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সাতদিন আগে লিবিয়া ছেড়েছিলেন। এর তিনদিন পর তাদের নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। পানি ও খাবার ছাড়াই কয়েক দিন ভাসতে থাকেন তারা।

আরো পড়ুন: ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা, নিহত ২৯

জীবিতরা জানিয়েছেন, এ যাত্রায় অন্তত ৬০ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে মহিলা এবং একটি শিশু রয়েছে। তারা সবাই ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় মারা গেছেন। কেউ ডুবে মারা যাননি।

অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন বলেও জানান তারা। উদ্ধারকৃতরা সবাই পুরুষ। এদের মধ্যে ১২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। তারা সবাই সেনেগাল, মালি ও গাম্বিয়ার অধিবাসী। 

অভিবাসনের জন্য বিশ্বের ভয়াবহতম প্রাণঘাতী রুটে পরিণত হয়েছে মধ্য ভূমধ্যসাগর। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুসারে, গত বছর এই রুটটি পাড়ি দিতে গিয়ে আড়াই হাজার অভিবাসীর মৃত্যু বা নিখোঁজ হয়েছেন। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই সংখ্যা ২২৬ জন।

আইওএম গত সপ্তাহে বলেছে, এক দশক আগে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৩ সালটি ছিলো অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক বছর। এই বছর বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অভিবাসন রুটে কমপক্ষে ৮ হাজার ৫৬৫ জন মারা গেছেন।

জাতিসংঘ এই সংস্থা বলেছে, প্রাণহানির এই সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App