মালদ্বীপের নতুন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু বরাবর চীনপন্থী হিসাবেই পরিচিত। ক্ষমতায় আসার পরে প্রথমেই তিনি চীন সফর সেরে এসেছেন। চীন থেকে মালদ্বীপকে দেয়া ঋণের পরিমাণও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু দেশ মালদ্বীপ। ভারতের পড়শিকে এমন ভাবেই ব্যাখ্যা করল যুক্তরাষ্ট্র। 

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকাকে মুক্ত, নিরাপদ এবং সুরক্ষিত রাখতে মালদ্বীপের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার বন্ধন দৃঢ় করতে বদ্ধপরিকর ওয়াশিংটন।

আরো পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টা মৃতদেহ পাহারা দিলো কুকুর

তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়ায় দায়িত্বে থাকা সহকারী সচিব ডোনাল্ড লু মালদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন। গত নভেম্বরেই মালদ্বীপে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সেই নতুন শাসকের সঙ্গে কথাবার্তা, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্যই আমেরিকার প্রতিনিধি হিসাবে গিয়েছিলেন ডোনাল্ড। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। 

তার গত ২৯-৩০ জানুয়ারির মালদ্বীপ সফর প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের মুখপাত্র বলেন, ‘‘মালদ্বীপের সঙ্গে সহযোগিতা আরো দৃঢ় করতে আমেরিকা আগ্রহী। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় মালদ্বীপ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু।’’

মালদ্বীপে আমেরিকার কোরো দূতাবাস এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি। তা তৈরির কাজ চলছে। দূতাবাস দ্রুত গড়ে তোলার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রের।

আরো পড়ুন: ভারতকে কঠোর হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাপ্রধানের

উল্লেখ্য, মালদ্বীপের নতুন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু বরাবর চীনপন্থী হিসাবে পরিচিত। ভারতের সঙ্গেও এই দ্বীপরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে গত কয়েক মাসে। এই পরিস্থিতিতে মালদ্বীপের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ব অর্থ সংস্থা আইএমএফ। তারা মালদ্বীপকে সতর্ক করে জানিয়েছে, ঋণের দায়ে ফেঁসে যেতে পারে মুইজ্জু সরকার। ঋণ নেয়ার নিরিখে তারা ‘বড় ঝুঁকি’র মধ্যে রয়েছে। উল্লেখ্য, মালদ্বীপকে দেয়া ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে চীন। আইএমএফ চীনের নাম না করেই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে সতর্ক করেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লক্ষদ্বীপ সফরকে কেন্দ্র করে মালদ্বীপের মন্ত্রীদের অবমাননাকর মন্তব্য ভারতের সঙ্গে এই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে। মুইজ্জু মালদ্বীপের মাটি থেকে ভারতের সেনা সরিয়ে নিতে বলেছেন। এমনকি বেঁধে দিয়েছেন সময়। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার সঙ্গে মালদ্বীপের ঘনিষ্ঠতা ভারতের পক্ষে আশার, না হতাশার, তার উত্তর কেবল সময়ই দেবে।