ইরাক ও সিরিয়ায় চালানো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশোধমূলক হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে জর্ডান। এছাড়া বাগদাদ সরকারের সাথে সমন্বয় করে ওয়াশিংটন এই হামলা চালিয়েছে বলে যে দাবি করা হয়েছে, সেটিও অস্বীকার করেছে ইরাক।

গত সপ্তাহে জর্ডানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার জবাবে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত মিলিশিয়াদের ৮৫টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে এই হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এই হামলায় ইরাক ও সিরিয়ায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। খবর আনাদোলুর।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শনিবার ইরাকে সর্বশেষ মার্কিন হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আগে থেকেই কোনও ধরনের সমন্বয়ের কথা অস্বীকার করেছে বাগদাদ। ইরাকি সরকারের মুখপাত্র বাসেম আল-আওয়াদি বলেছেন, এ হামলার সময় মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো আকাশাত এবং আল-কাইম অঞ্চলে ইরাকি ঘাঁটি ও কাছাকাছি বেসামরিক এলাকাগুলোতে বোমাবর্ষণ করে।

জর্ডানে ড্রোন হামলায় ৩ জন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র গত শুক্রবার ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের কুদস ফোর্স এবং ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায়।

ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার রাতের ওই হামলায় সব মিলিয়ে ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে ১২৫টিরও বেশি নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

ইরাকের ইরান-সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী নুজাবা মুভমেন্টের সাথে সম্পৃক্ত একটি টেলিগ্রাম পোস্ট অনুসারে, পশ্চিম ইরাকে মার্কিন হামলায় হাশদ আল-শাবি শিয়া মিলিশিয়া বাহিনীর একটি অস্ত্রের ডিপোতে শুক্রবার গভীর রাতে হামলা হয়েছে।

জর্ডানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল কমান্ডের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, রয়্যাল জর্ডানিয়ান এয়ার ফোর্স গত রাতে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর পরিচালিত বিমান হামলায় অংশ নেয়নি।

জর্ডানিয়ান নিউজ এজেন্সি (পেট্রা) তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই ধরনের ‘অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন’ ওই সামরিক কর্মকর্তা।