×

আন্তর্জাতিক

প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন জুকারবার্গ

Icon

ডয়চে ভেলে

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম

প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন জুকারবার্গ

ছবি: এএফপি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে মার্কিন সিনেটরদের কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়েছেন মার্ক জুকারবার্গসহ অন্যরা। 

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মার্কিন সিনেটে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ার পর ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা সেই সব বাবা-মা ও পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, যাদের সন্তানদের ফেসবুক ও অন্য সমাজিক মাধ্যমে আসক্তির জন্য ক্ষতি হয়েছে।

একজন সিনেটর সরাসরি অভিযোগ করেন, জুকারবার্গরা এমন একটি প্রোডাক্ট  নিয়ে এসেছেন, যা মানুষের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে।

শুনানির সময় জুকারবার্গ ওই সন্তানদের অভিভাবকদের বলেছেন, ‘আপনাদের যে কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে, তা যেন অন্যদের না হয়।’

সিনেটের জুডিশিয়ারি কমিটি এই হাইটেক কর্তাদের ডেকেছিল এবং তাদের কঠিন প্রশ্ন করে। এর নাম দেয়া হয়েছিল, বিগ টেক অ্যান্ড অনলাইন চাইল্ড সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন ক্রাইসিস। জুকারবার্গ ছাড়াও টিকটকের সিইও শাও জি চিউ, স্ন্য়াপচ্যাটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইভান স্পিগেল, ডিসকর্ড সিইও জেসন সিট্রঁ এবং এক্স-এর অনলাইন প্ল্যাটফর্ম প্রধানও ছিলেন।

এই কমিটির প্রধান সিনেটর ডিক ডুবিন বলেন, ‘এই কোম্পানিগুলো যে প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে, তা প্রচুর বাচ্চার কাছে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোম্পানিগুলো সুরক্ষার পেছনে যথেষ্ট অর্থ খরচ করেনি, প্রাথমিক সুরক্ষার থেকে লাভকেই বড় করে দেখেছে। এর ফলে বাচ্চারা বিপদের মধ্যে পড়েছে।’

আরো পড়ুন: বিশ্বভারতীর জমির মামলা: জয় পেলেন অমর্ত্য সেন

সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, ‘জুকারবার্গ, আপনি ও আপনার কোম্পানিগুলোর কাজ আমাদের সামনে আছে। আমি জানি, আপনি কখনোই এরকম পরিস্থিতি চাইবেন না, তা সত্ত্বেও আপনার হাতে রক্ত লেগে আছে। আপনার প্রোডাক্ট মানুষকে মারছে।’

জুকারবার্গ সিনেটরদের বলেন, ‘ইন্টারনেট শুরু হওয়ার পর থেকে বাচ্চাদের নিরাপদে রাখাটা প্রথম থেকে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অপরাধীরা তাদের কৌশল বদলেছে। আমাদেরও প্রোডাক্টের সুরক্ষা বদলাতে হয়েছে।’

তিনি স্বীকার করে বলেন, ‘সমীক্ষায় দেখা গেছে, সামাজিক মাধ্যম বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থের পক্ষে খারাপ।’

টিকটক সিইও শাও জি চিউ বলেছেন, ‘আমার তিনটি সন্তান আছে। আমি জানি, যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা খুবই ভয়ের এবং প্রতিটি বাবা-মার কাছে দুঃস্বপ্নের মতো।’ ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও মানুষের আস্থা ফেরাতে তিনি দুইশ কোটি ডলার খরচ করবেন। চলতি বছরেই আমাদের ৪০ হাজার পেশাদার সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন।’

মেটাও জানিয়েছে, ‘তাদের ৪০ হাজার কর্মী অনলাইন সুরক্ষার বিষয়টা নিয়ে কাজ করছেন। ২০১৬ সালে থেকে তারা দুই হাজার কোটি ডলার এর জন্য খরচ করেছে।’ মেটার কাছেই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিকানা আছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিশোর ও সদ্য যুকদের কাছে অচেনা জায়গা থেকে কোনও বার্তা পাঠানো হলে, তা ব্লক করা হবে।

এছাড়া ইনস্টা ও ফেসবুকে কিশোরদের কনটেন্টের ওপর আরও কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App