×

আন্তর্জাতিক

বিশ্বভারতীর জমির মামলা: জয় পেলেন অমর্ত্য সেন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম

বিশ্বভারতীর জমির মামলা: জয় পেলেন অমর্ত্য সেন

ছবি: সংগৃহীত

শান্তিনিকেতনের বাড়ি থেকে উচ্ছেদে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা বহুল আলোচিত জমি বিবাদ নিয়ে মামলায় জয় পেয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। 

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) কলকাতার সিউড়ি জেলা আদালত নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের পক্ষে রায় দিয়েছেন।

আদালত বিশ্বভারতীর ‘এভিকশন অর্ডার’ বা উচ্ছেদের নির্দেশ সম্বলিত নোটিশ খারিজ করে দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এর আগে, গত বছরের মার্চে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে তার বাসভবন থেকে উচ্ছেদের নোটিশ দেয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতীচীর ঠিকানায় পাঠানো চিঠিতে দাবি করা হয়, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন। তাই আইন মেনে তাকে কেন ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় চিঠিতে।

অমর্ত্য সেনের এই জমি নিয়ে বিতর্ক বেশ পুরোনো। কিছু দিন আগে অর্থনীতিবিদ যখন শান্তিনিকেতনে ছিলেন, সে সময়ই তাকে একটি চিঠি দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, শিগগিরই ১৩ ডেসিমেল জমি বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দিতে হবে। পরে ওই নোটিশ ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়।

চিঠির জবাবে অমর্ত্য সেন পাল্টা দাবি করেন, ওই বাড়ির জমির একাংশ বিশ্বভারতীর কাছ থেকে লিজ নেয়া, বাকি অংশ কেনা। এখন মিথ্যা কথা বলছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রেখেছেন, এই অভিযোগ তুলে এক সময় সরব হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই সময় অমর্ত্যের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমি ছাড়তেই হবে অমর্ত্যকে, এমন দাবিতেই অনড় থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। পরে সেই মামলা গড়ায় আদালতে। 

বুধবার ওই মামলায় রায় দিয়েছেন সিউড়ি জেলার আদালত।

প্রখ্যাত এই অর্থনীতিবিদকে ১৩ ডেসিমেল জায়গা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছিল।  সেই নোটিশ খারিজ করার আবেদন জানিয়ে সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারকের এজলাসে যান অমর্ত্যের আইনজীবী। মামলার শুনানি শেষে বিশ্বভারতীর এভিকশন অর্ডারকে বাতিল করে দেন আদালত। এর ফলে কার্যত জমি মামলায় অমর্ত্যের জয় হলো বলেই মনে করছেন তার আইনজীবীরা।

অমর্ত্য সেনের আইনজীবী বিমান চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাদের আবেদন মেনে নিয়েছেন আদালত। বিশ্বভারতী যে নোটিশ দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে আমরা আদালতে আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক।’’

অপর আইনজীবী সৌমেন্দ্র রায় চৌধুরী বলেন, ‘‘আপাতত আদালত বিশ্বভারতীর দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। বিশ্বভারতীর দাবি আর রইল না। বিচারক রায়ে বলেছেন, বিশ্বভারতীর ‘এভিকশন অর্ডার’ সম্পূর্ণ প্রতিহিংসাপরায়ণ। এটা বিদ্যুৎ চক্রবর্তী করতে পারেন না।’’

উল্লেখ্য, অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেন ১৯৪৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এক একরের কিছু বেশি জমি ইজারা নিয়েছিলেন। পরে ওই জমিতে বাসভবন ‘প্রতীচী’ নির্মাণ করেন অমর্ত্য সেন।


সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App