×

শিক্ষা

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে থাকলেই হেনস্তার শিকার

Icon

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৪, ১০:২৫ পিএম

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে থাকলেই হেনস্তার শিকার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একদল শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে হেনস্তার কথা অভিযোগ করেন

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকলেই তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ, পরিবারকে নিয়েও অনলাইন ও অফলাইনে অশালীন মন্তব্য ও ক্যাম্পাসে বিভিন্নভাবে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একদল শিক্ষার্থী। 

শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে বুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে তারা পাঁচজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তবে তাদের সঙ্গে আরো ২০-২৫ শিক্ষার্থী সমর্থন জানিয়েছেন তবে চিহ্নিত হওয়ার ভয়ে আসতে পারেননি বলে জানান তারা। লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান, বুয়েটের ক্যামিকেল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক আলম (২০ ব্যাচ), অর্ঘ দাস (২১ ব্যাচ), সাগর বিশ্বাস (২০ ব্যাচ), অরিত্র ঘোষ (২০ ব্যাচ) ও সিভিল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের তানভীর স্বপ্নীল। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যাদের পরিবার অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদেরকে ধরে ধরে নিয়মিত র‍্যাগিং, বুলিং, হুমকি ও ভয় ভীতির মধ্যে জীবন কাটাতে হয়। বুয়েটের বাইরে এমনকি এলাকার কোনো প্রোগ্রামে গেলেও জবাবদিহি করতে হয়। 

আরো পড়ুন: বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের 'নাটক' বন্ধ করতে প্রশাসনকে আহ্বান

লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, বুয়েটের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপগুলোতে আমাদের পক্ষে কেউ নিজের কোনো মতামত রাখতে গেলে তাকেও বুলিং এবং নানা ধরনের হুমকির শিকার হতে হয় এবং আমাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক কিংবা পরিচয় ছিলো বিধায় অনেককেই কটাক্ষের শিকার হতে হয়। পারিবারিকভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে (বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেই) পরিচিতি থাকলে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে থাকা হয় এমনকি পরিবারকে নিয়েও অশালীন মন্তব্য করা হয় অনলাইন ও অফলাইনে। 

তারা বলেন, একদিন সাপ্তাহিক ছুটিতে আমরা কয়েকজন বন্ধুবান্ধব ও বড়ভাই-ছোটোভাই মিলে ক্যাফেটেরিয়াতে কাচ্চি রান্না করে খাই। এটাকেও মিথ্যাচার করে রাজনৈতিক তকমা লাগানো হয় এবং বলা হয় গোপনে সেখানে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলো। যেটি পুরোপুরি বানোয়াট এবং মিথ্যা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের দোষী সাব্বস্ত করে সব রকমের গ্রুপ ও ক্লাব থেকে শিক্ষকদের কোনোরূপ অনুমতি না নিয়ে বের করে দেয়া হয়। সব ধরণের স্টাডি ম্যাটারিয়েলস দেয়া বন্ধ করা হয়, আমাদেরকে ডিপার্টমেন্ট, হল, ক্লাবের প্রোগ্রাম থেকে বাদ দেয়া হয়। ভালো খেলা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় বা ডিপার্টমেন্টে খেলতে বাধা, ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভ হওয়াসহ সব ধরণের জায়গাতে যেতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। 

অভিযোগ করে তারা আরো বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করিনি এবং কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নই তবে আদর্শের দিক থেকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাসী এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সঙ্গে আছি। এরপরও বলা হয় যদি কেও ভবিষ্যতেও এই চেতনায় বিশ্বাস করে পাওয়া যায় তাকেও বের করে দেয়া হবে এবং আমাদেরকে র‍্যাগার, খুনী, মাদকাসক্তসহ আরো অনেক ন্যাক্কারজনক অপবাদ দেয়া হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App