২ সপ্তাহেও রেমিট্যান্স আসেনি যেসব ব্যাংকে
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
দুই সপ্তাহে রেমিট্যান্স আসেনি যেসব ব্যাংকে। ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছর জুলাইয়ের প্রথম দুই সপ্তাহে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি দেশের ১০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে। গত ১৩ দিনে দেশে প্রায় ৯৭ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসলেও ১০টি ব্যাংকে আসেনি কোনো রেমিট্যান্স। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকও রয়েছে ।
রবিবার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, জুলাইয়ের প্রথম দুই সপ্তাহে দেশের ১০টি ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি ব্যাংকসহ বিশেষায়িত ব্যাংক একটি, ৪টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৪টি বিদেশি ব্যাংকে গত ১৩ দিনে রেমিট্যান্সের কোন অর্থ আসেনি।
জুলাইয়ের প্রথম ১৩ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে দেশের বাইরে থেকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
আরো পড়ুন: দেশে স্বর্ণের দাম বেড়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ!
তালিকায় আরো আছে বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং ইরি ব্যাংক।
অন্যদিকে, জুলাইয়ের প্রথম ১৩ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ কোটি ৬৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকে ৫ কোটি ৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকে ৭৮ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও বিদেশি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বিদায়ী অর্থবছরের জুন মাসে দেশে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর আগে গত মে মাসে দেশে এসেছিল ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার, ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার, ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ও ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশে মোট রেমিট্যান্স আসে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। একই বছর নভেম্বর, অক্টোবর, সেপ্টেম্বর, আগস্ট ও জুলাইতে রেমিট্যান্স আসে যথাক্রমে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার, ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার, ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার, ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, ৫০ হাজার ও ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।