×

অর্থনীতি

বাংলাদেশের মেগা প্রজেক্টে বিনিয়োগে আগ্রহী জাপান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৩, ০৮:৫৮ পিএম

বাংলাদেশের মেগা প্রজেক্টে বিনিয়োগে আগ্রহী জাপান

ছবি: ভোরের কাগজ

জাপান বাংলাদেশের বড় বড় (মেগা) প্রজেক্টে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট দেশ গড়ার যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, জাপান সরকার এ অগ্রযাত্রায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় করেছেন বলেও জানান তিনি।

রবিবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সফররত জাপানের অর্থনীতি ও বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

টিপু মুনশি বলেন, জাপান দীর্ঘসময় ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে পাশে আছে। তারা আমাদের দেশের অনেক বড় বড় প্রজেক্টে বিনিয়োগ করেছে এবং ভবিষ্যতে আরো বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়েছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় খাত অনুসন্ধান করার উপরও দুই মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাপান-বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (ইপিএ) কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে জাপানে এসংক্রান্ত প্রথম রাউন্ড আলোচনা হয়েছে ও আগামী ২৫-২৬ জুলাই ঢাকায় দ্বিতীয় রাউন্ড আলোচনা হবে। খুব দ্রুতই এই চুক্তি সম্পাদিত করার বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (ইপিএ) মাধ্যমে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের সমস্যা সমাধান করে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করা হবে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশে শিল্প উৎপাদন বাড়বে এবং আরও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-জাপানের প্রধানমন্ত্রীরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করার ইচ্ছা পোষণ করায় উভয় দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ও সহযোগিতার মাত্রা আরো বিস্তৃত হবে উল্লেখ করেন টিপু মুনশি। এছাড়া, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হওয়ার পর শুল্কমুক্ত বাণিজ্য অগ্রাধিকার বিষয়েও কথা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যেসব পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে যুক্ত সেসব পণ্যের মূল্য উঠা নামা করে থাকে মূলত আন্তর্জাতিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশের বাজারে বাড়ে, আবার দাম কমলে দেশেও কমে। যার প্রভাব সয়াবিন তেলের ওপর পড়েছে। আমরা কিন্তু ভোজ্যতেলের দাম দুই দফা কমিয়ে দিয়েছিঅপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার সবসময় কঠোর অবস্থান নিয়ে থাকে। বাজার মনিটরিং করার জন্য আমাদের ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। যারা অবৈধভাবে খাদ্যপণ্য মজুদ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার আইনও পাশ করেছে।

সাক্ষাতকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ দুই দেশের সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দ্য জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেইটিআরও) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশের শিল্প অগ্রগতি’ শীর্ষক সামিটে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App