×

অর্থনীতি

ব্যাংকে সুশাসনের অভাব আছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৩, ০৫:২৪ পিএম

ব্যাংকে সুশাসনের অভাব আছে

সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এবিবি আয়োজিত ব্যাংকিং সেক্টর আউটলুক-২০২৩ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: ভোরের কাগজ

বেশ কয়েক বছর ধরে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে কারো সন্দেহ নেই। শুধু ব্যাংকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক মিলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে সে পর্যায়ে নেই। ব্যাংক খাতে এখনো প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনের অভাব রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

সোমবার (২২ মে) রাজধানীর ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এবিবি আয়োজিত ব্যাংকিং সেক্টর আউটলুক-২০২৩ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় এবিবির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, গত ৩০ বছরে আমাদের দেশে ব্যাংকিং সেক্টর অন্যভাবে তৈরি হয়েছে। আমাদের দেশে ব্যাংকিং ব্যবসা বিভিন্ন গ্রুপের কাছে চলে গেছে। বিশ্বের অন্য অনেক দেশেই বিষয়টা এমন নয়। এজন্য সুশাসন ফেরাতে ব্যাংকে বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের সংকট যেটা আছে এটা সামলাতে আমাদের আরও সময় লাগবে। আমরা এখনও অনেক গরিব দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে অনেক নীচে আমরা। আমাদের ছোট অর্থনীতির দেশ এটা।

এবিবি চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংক খাতের সংকট কিছুটা কেটেছে। তবে আমরা সংকট থেকে এখনো পুরোপুরি উত্তরণ হতে পারেনি। সংকটের মধ্যেও কোনো ব্যাংকের আমানতকারী টাকা তুলতে পারেনি এমন হয়নি। তারল্য ব্যাংক খাতের কোনো চ্যালেঞ্জ না, সেই সংকটও দূর হয়েছে।

তিনি বলেন, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ না করলে সমাধান করা সম্ভব না। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার সংরক্ষণ করে দর বৃদ্ধির প্রমাণ পাওয়ায় বেশ কয়েকটা ব্যাংকে জরিমানা করা হয়েছিল এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে জবাব চেয়েছিল, পুরনো বিষয় সেটার সমাধান হয়েছে। এ নিয়ে কোন নিয়মের ব্যত্যয় হয়নি বলেও জানান তিনি।

রেমিট্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের (প্রবাসী আয়) ডলারের শুধু দাম নির্ধারণ করলেই হবে না রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কি ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তাও দেখতে হবে। প্রবাসীরা এয়ারপোর্টে ভালো সুবিধা পান না, তাদের কোনো ধরনের কাজ সম্পর্কে শেখানো হয় না। অন্যান্য দেশে বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দেওয়া হয়, দক্ষ করা হয়। যা আমাদের দেওয়া হয় না। এতে প্রবাসীরা অনেক পিছিয়ে পড়ছে।

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশরুর আরেফিন বলেন, আমাদের ব্যাংকিং খাতের প্রতি গ্রাহকের আস্থা বেড়েছে। এখন ডিপোজিট বেড়েছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে। রেমিট্যান্সে ডলারের রেট ৮৭ টাকা থেকে ১০৮ টাকা হয়েছে। আমাদের তারল্য সাময়িক সংকট দেখা দিয়েছিল তবে এখন অতিরিক্ত তরল্য রয়েছে। পুরো ব্যাংকখাতে এখন অতিরিক্ত এক লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা তারল্য রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App