বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাহুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম ও তার ভাই সাবেক বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমসহ ১০৫ জনের নামে দিনাজপুরে আরো একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মামলাটি করেন শহরের পাকপাহাড়পুর মহল্লার রেজাইল করিমের ছেলে মো. রিয়াদ। রিয়াদ নিজেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন।

৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে তিনটি ও সাবেক বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা করা হলো।

উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার ও আবু হোসাইন বিপু, ইউপি চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, মমিনুল ইসলাম, মো. রানা, আতাউর রহমান, জর্জিস সোহেল ও মোস্তফা কামাল, হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য রুহুল আমীন, আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফুজ্জামান, বিশ্বজিৎ ঘোষ, ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।

আরো পড়ুন: শেখ হাসিনা-কামালসহ ৩২৭ জনের নামে মামলা

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট সকাল থেকে দিনাজপুরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে মিছিলে অংশ নেন। দুপুর ১২টায় মিছিলটি দিনাজপুর জিলা স্কুলের সামনে থেকে কোর্ট চত্বরের সামনে পৌঁছায়। তখন ইকবালুর রহিম ও তার ভাই ইনায়েতুর রহিমের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় ও উসকানিতে আওয়ামী লীগের লোকজন মিছিলের ওপর হামলা করেন। হামলাকারীদের হাতে পিস্তল, রিভলবার, হাঁসুয়া, বন্দুকসহ দেশি অস্ত্র ছিল। তারা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এসময় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে ৯ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাহুল ইসলাম মারা যান।

নিহত রবিউল ইসলাম দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের বিদুরশাই মহারাজপুর এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। সে রানীগঞ্জ এহিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ত।