×

সারাদেশ

টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এলো মিয়ানমারের ৮৮ বিজিপি

Icon

শহীদ উল্লাহ, টেকনাফ (কক্সবাজার)

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম

টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এলো মিয়ানমারের ৮৮ বিজিপি

ছবি: ভোরের কাগজ

কক্সবাজার টেকনাফের নাফনদী সীমান্তের শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট দিয়ে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে আবারো পালিয়ে এসেছে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) অন্তত ৮৮ সদস্য। তাদের কোস্টগার্ড সদস্যরা হেফাজতে নিয়েছে। 

রবিবার (৫ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট এলাকায় তিনটি কাঠের ট্রলার যোগে অনুপ্রবেশের সময় কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের হেফাজতে নিতে দেখেছে স্থানীয় লোকজন। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোস্টগার্ডের দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। 

তবে কোস্টগার্ডের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, বিজিপির ৮৮ জন্য সদস্য ট্রলার যোগে বাংলাদেশের জলসীমায় আসার পর কোস্টগার্ডের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে। এসময় তাদের নিরস্ত্রীকরণ করার পর হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এখন বিজিবির কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।  এ নিয়ে কথা বলেননি বিজিবির সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তাও।  

তবে বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদের সঙ্গে কথা হলে বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পরামর্শ দিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমারের উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাঈনুল কবির বলেন, শনিবারের মতো রবিবারও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তবে কতজন সেটা এখনো জানা যায়নি। তাদেরকেও বিজিবির হেফাজতে রাখা হবে।

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজির আহমদ বলেন, কাঠের ট্রলারযোগ আসা মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের কোস্টগার্ড সদস্য হেফাজতে নেয়ার পর টেকনাফের কেরুনতলীস্থ কোস্টগার্ড স্টেশনের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে অন্তত ৮৮ জন বিজিপি সদস্য রয়েছে। কোস্টগার্ড স্টেশন কার্যালয়ের পাশে কয়েকটি বাসও অপেক্ষামান রয়েছে।

এর আগে শনিবার ভোরে আরো কিছু সংখ্যক মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে সংখ্যাটা ৫০ জনের কম বলে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমারের উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাঈনুল কবির।

টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে রবিবারও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ৮০ থেকে ৯০ জন সদস্য পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে এটা শুনেছি। তবে বিষয়টি কোস্টগার্ড ও বিজিবি দেখছে।

এর আগে দুই দফায় পালিয়ে আসা বিজিপি ও সেনা বাহিনীর ৬১৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। এর আগে আশ্রয় নেয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বদেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App