×

সারাদেশ

মির্জাগঞ্জে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করলেন আ.লীগ ও জাপা

Icon

মো. রিয়াজ হোসেন, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:২২ পিএম

মির্জাগঞ্জে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করলেন আ.লীগ ও জাপা

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। 

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছ থেকে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা ফলকে শ্রদ্ধা নিবেদন, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের আসন বিন্যাস ও সম্মাননা স্মারক বিতরণে প্রটোকল নিয়ে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই দুই দলের নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের সব অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণাও দেন তারা। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছেন সবটাই নিয়মনুযায়ী হয়েছে। 

আরো জানা যায়, মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরের অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধা ফলকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের পরই মির্জাগঞ্জ থানার পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ওসি মো. হাফিজুর রহমান। এতে চরমভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ। 

আরো পড়ুন: বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাঙালি জাতিকে একত্রিত করার ক্ষমতা কারো ছিলো না

একইসঙ্গে পটুয়াখালী-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদারের পক্ষে প্রথম সারিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেননি জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতাকর্মীরা ফলে তারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ মাঠে কুচকাওয়াজ চলাকালীন সময়ে ওই দুই দলের নেতাদের আসন বিন্যাস ও সম্মাননা স্মারক বিতরণকালে প্রটোকল নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তারা পরবর্তী অনুষ্ঠানের সব কার্যক্রম যৌথভাবে বর্জন করে মাঠ ত্যাগ করেন।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন জুয়েল বেপারী বলেন, বিগত ১৫ বছর যাবত জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতে উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের পরই উপজেলা আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধা নিবেদনসহ সব কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে থাকে। কিন্তু এবারের অনুষ্ঠানে ওসি হাফিজুর রহমান আ.লীগের নাম কর্তন করে, তাদের পরই শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। এমনকি এ বিষয়টি ইউএনও সাহেবকে জানালেও তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। এতে আমরা পুরো আওয়ামী লীগ পরিবার অসম্মানিত হয়েছি। তাই বাধ্য হয়েই অনুষ্ঠান বর্জন করেছি এবং পরবর্তী সময়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সব অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। তবে ওসির দাবী অনুষ্ঠানের আয়োজক উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের তৈরী করা সিরিয়াল অনুযায়ী তারা অংশগ্রহণ করেছেন, এখানে কোনো সংগঠনের নাম কাটার ইখতেয়ার তার নেই। 

আরো পড়ুন: খুকৃবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

মির্জাগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ড. আবদুর রহমান বলেন, পটুয়াখালী-১ আসনের বর্তমান সাংসদ জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। তাই তার পক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমরা ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাই। সংসদ সদস্যের নামের ফুলের ডালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানের পরে, এটি অত্যন্ত দুঃখ ও লজ্জার বিষয়। এছাড়াও অন্যান্য প্রোগ্রামগুলোতে কোনো প্রটোকল না মানায় আমরাও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমর্থন জানিয়ে উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠান বর্জন করেছি।

এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। তাই সবাইকে চিনিও না, যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App