নাটোরের গুরুদাসপুরে আনন্দনগর পলিটেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. জীদ সরকারের (১৪) পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগে মুদি দোকানী মো. নাছির উদ্দিন (৫০) কে গ্রেপ্তার করে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ। 

আহত শিক্ষার্থীর মা রেহেনা বেগম বাদী হয়ে মুদি ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিনের নামে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করলে সোমবার (২৫ মার্চ) রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। 

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে আদালতের মাধ্যমে নাছির উদ্দিনকে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। 

আরো পড়ুন: সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত

শিক্ষার্থী জীদ সরকার জানায়, গত শুক্রবার (২২ মার্চ) ইফতারের কিছুক্ষণ পূর্বে মা (রেহেনা বেগম) প্রতিবেশী নাছির উদ্দিনের মুদি দোকান থেকে গো খাদ্য ভুষি কেনার জন্য ১০০ টাকা দিয়ে আমাকে পাঠিয়েছিলেন। দোকানীকে ১০০ টাকা দিয়ে ভুষি চাইলে দোকানী আরো ২০ টাকা দাবি করে। তখন আমি দোকানীকে বলি আমি ভুষি নিবোনা। ইফতারের সময় এগিয়ে আসার কারণে তারাহুড়া করে আমি দোকানীর কাছে দেয়া টাকা ফেরত না নিয়েই পাশ্ববর্তী চাঁচকৈড় বাজারে যাই। সেখানে গিয়ে মনে পরে টাকা ফেরত না নেয়ার কথা। পুনরায় ওই দোকানে এসে দেখি দোকান বন্ধ। পরে বাড়িতে গিয়ে মাকে বিষয়টি জানানোর পর বললো সকালে টাকাটা ফেরৎ নিতে। 

আরো পড়ুন: এবারের ঈদে যাত্রীদের ভোগান্তি হবে না: রেলমন্ত্রী

পরদিন শনিবার সকালে টাকা ফেরত নিতে ওই দোকানে গেলে নাছির উদ্দিন আমার সঙ্গে প্রথমে অনেক রাগ দেখায়। বলে যে টাকা ফেরৎ দেয়া যাবে না। তখন আমি দোকানিকে বলেছিলাম টাকা না দিলে বাবাকে ডেকে নিয়ে আসবো। দোকানি তখন রেগে আমাকে একটা থাপ্পর মারে। আমি পরে যেতে যেতে দোকানির জামা টেনে ধরি। তখন দোকানে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার ডান পায়ে সজোরে আঘাত করে। তখনি আমার পা ভেঙে যায়।’

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন জানান, এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করার পরে নাছির উদ্দিনকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।