×

সারাদেশ

একটি সেতু সংস্কারে ১৪ বছরের অপেক্ষা!

Icon

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৪, ১২:২০ পিএম

একটি সেতু সংস্কারে ১৪ বছরের অপেক্ষা!

ছবি: ভোরের কাগজ

একটি লোহার সেতু ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে ভেঙে গেছে ১৪ বছর আগে। পরে সেটিকে কাঠের পাটাতন দিয়ে কোনমতে জোড়াতালি দিয়ে পারাপার হচ্ছিলো স্থানীয়রা। সর্বশেষ সেটিরও এখন নড়বড়ে অবস্থা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় সেতুটি। নেই যানবাহন পারাপারের কোন সুযোগ। 

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়ন এবং ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নকে সংযোগকারী এই সেতুটি গহিনখালী খালের উপর অবস্থিত। ১৯৯০ সালে এখানে প্রথমে লোহার তৈরি একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতেই সেটি একসময় ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। 

সেতুর দুদিকেই রয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দক্ষিণ দিকে বাহেরচর বাজার এবং উত্তর দিকে বড়ইতলা বাজার।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সেতুটি নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় ২০০২ সালে এটির সংস্কার করা হয়। ৫৬ মিটার দীর্ঘ ও ২ মিটার প্রস্থের সেতুটি ২০১০ সালে আবার ভেঙে যায়। পরে ২০১২ সালে এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু হিসেবে ঘোষণা করে এলজিইডি মন্ত্রণালয়। 

স্থানীয়রা জানান, সেতুটির কংক্রিটের ঢালাই ভেঙে গেলে স্থানীয়রা কাঠ এবং গাছ দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে কোনমতে পারাপারের উপযোগী করে। এভাবে কয়েক দফা জোড়াতালি দেওয়ার পর ২০২২ সালের নভেম্বরে উপজেলা চেয়ারম্যানের উদ্যোগে একটি কাঠের সেতু করা হয়। কিন্তু সেটিও খুব একটা কাজে আসেনি। নড়বড়ে এ কাঠের সেতুটিতে নেই যানবাহন চলাচলের সুযোগ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করতে হয় পারাপার। 

বড়ইতলা বাজারের ব্যবসায়ী স্থানীয় শাহিল আহমেদ বলেন, ‘১৪ বছর আগে ভাঙা এই সেতু একের পর এক জোড়াতালি দেয়ায় এটির নাম হয়েছে এখন ‘ভাঙা সেতু’। এই ভাঙা সেতু কবে নতুন সেতু হবে সে অপেক্ষা আমাদের এখানকার সবার।’ 

বাহেরচর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সাজিদুল আঁকন বলেন, ‘বাণিজ্যিক দিক বিবেচনায় এখানে কংক্রিট ঢালাই কিংবা লোহার সেতু খুবই প্রয়োজন। একটি ব্যবহার উপযোগী সেতু না থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দুই পাড়ের ব্যবসায়ীরা। সেতুটি নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।’ 

উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, দুপাড়ের মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ করে আমি সেখানে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করেছি। কিন্তু এখানে একটি স্থায়ী সেতুর প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। আমরা ইতোমধ্যে কয়েকবার এলজিইডিকে অবহিত করেছি।’

আরো পড়ুন:চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের অনাস্থা

 এ বিষয়ে এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার সেতু নির্মাণ প্রকল্পে বাহেরচর ও বড়ইতলা বাজারের মধ্যবর্তী গহিনখালী খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবনাটি অনুমোদন হলে টেন্ডার পরবর্তী সেতু নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হবে।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App