×

সারাদেশ

কাউখালীতে ব্রিজের স্লাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছের চেরা!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০৭ পিএম

কাউখালীতে ব্রিজের স্লাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছের চেরা!

কাউখালীতে ব্রিজের স্লাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছের চেরা! ছবি: কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

কাউখালীতে ব্রিজের স্লাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছের চেরা!

পিরোজপুরের কাউখালীতে ব্রিজ মেরামত কাজের স্লাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছের চেরা ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাউখালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঠালিয়া গোসনতারা এলাকার নূরুল ইসলামের বাড়ীর সামনে ব্রিজ মেরামতের কাজে ওই স্লাব ব্যবহার করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ব্রিজের তিনটি স্লাব ভেঙে গেছে প্রতিটি স্লাবে রডের পরিবর্তে ৫টি করে সুপারি গাছের চেরা (স্থানীয় লোকজন যাকে সুপারির ডাব বলেন) দিয়ে স্লাব ঢালাই করা হয়েছে। ব্রিজের প্রায় সবগুলো স্লাবই ফেটে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন এডিপির আওতায় কাউখালী ইউনিয়নে ৬টি উন্নয়ন কাজের একটি ওই ব্রিজ মেরামত কাজ। মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক লাভলু খান ওই ব্রিজ মেরামত কাজ বাস্তবায়ন করেন। কার্যাদেশ মোতাবেক ২০২২ সালের ২০ জুন কাজ শেষ করা হয়।

সরেজমিনে গেলে এলাকার বাসিন্দা আব্দূল লতিফসহ উপস্থিত এলাকাবাসী জানান, কাজ করে যাওয়ার পর থেকেই স্লাবগুলোতে ফাঁটল দেখা দেয়। তিন দিন আগে তিনটি স্লাব ভেঙে পড়লে এ দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী অবাক। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

কাউখালীতে ব্রিজের স্লাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছের চেরা!

এ বিষয়ে মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক লাভলু খানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এক দেড় বছর আগের ঘটনা তা এখন কি বলব। তিনি নিজে কাজ করেননি। ওই কাজ অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন স্লাব যখন ঢালাই দেয় তখন উপজেলা প্রকৌশলী বা তার প্রতিনিধিরা দেখেননি কেন। এখন সমস্যার কথা বললে হবে কিভাবে?

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে বারবার ফোন দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বজল মোল্লা বলেন, খবর পেয়েই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদেয় ও আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা দেখেছি এবং অবাক হয়েছি। উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

উপজেলা চেযারম্যান আবু সাইদ মনু মিয়া বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনও কে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষ করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App