×

সারাদেশ

বাঙ্গরায় মাস পেরোলেও নিখোঁজ গৃহবধূর সন্ধান মেলেনি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৫৬ পিএম

বাঙ্গরায় মাস পেরোলেও নিখোঁজ গৃহবধূর সন্ধান মেলেনি

রেশমা আক্তার। ফাইল ছবি

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থেকে নিখোঁজের একমাস অতিবাহিত হলেও গৃহবধূ রেশমা আক্তারের সন্ধান পায়নি পুলিশ।

গত ২৯ জুলাই সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে বাঙ্গরা বাজার থানাধীন দৌলতপুর গ্রামের তার শ্বশুর বাড়ি থেকে সে নিখোঁজ হয়। উপায়ন্তর না পেয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার বারবার পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হচ্ছেন।

বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে মুরাদনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে তারা হতাশার বিষয়টি জানান।

জানা গেছে, নয় মাস আগে যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামের মৃত সেলিম মিয়ার মেয়ে রেশমা আক্তারের সাথে বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত রুস্তম খানের ছেলে নাছির খানের বিবাহ হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটাচ্ছিলেন। বেড়ানোর উদ্দেশ্যে রেশমা আক্তার গত ২৯ জুলাই সকাল ১০টায় স্বামীর বাড়ি দৌলতপুর থেকে বাবার বাড়ি মোচাগড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। দেবর ইউসুফ খান তার বাবার বাড়িতে ফোন দিলে রেশমা আক্তার তাদের বাড়ি যায়নি বলে জানায়। এ খবর পেয়ে তারা নিকট আত্মীয়স্বজন ও সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজখবর নেন। কিন্তু তার কোনো সন্ধান পাননি। পরে নিরূপায় হয়ে রেশমা আক্তারের স্বামী নাছির খান গত ৮ আগস্ট বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি জিডি করেন। কিন্তু এখনো তারা তার সন্ধান না পেয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

রেশমা আক্তারের মা সেলিনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে ৮-১০ জন মেয়ের মতো না। সে সহজসরল ও স্বাভাবিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাকে খুঁজে না পেলে আমার বেঁচে থাকাই হবে কষ্টসাধ্য। যেভাবেই হোক, আপনারা তাকে খুঁজে বের করুন।’ এ কথা বলে এই প্রতিনিধির সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

রেশমা আক্তারের স্বামী নাছির খান বলেন, ‘প্রায় এক বছর আমার সংসার জীবন। কোন বিষয় নিয়ে তার সাথে আমার অশান্তি তৈরী হয়নি। আমার জানামতে তার মধ্যে কোন বিষয় নিয়ে অভিমান নাই। ধারণা করছি পথিমধ্যে কোন দুষ্ট লোকের কবলে সে পড়লো কিনা!’

বাঙ্গরা বাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও তদন্তকারী কর্মকর্তা ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘সম্ভাব্য কয়েক জায়গায় আমি নিজেই গেছি। সবচেয়ে বেকায়দার বিষয় হলো তারা কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। তবে আমি হাল ছাড়িনি। তাকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করার জন্য এসআই ওবায়দুল্লাহকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা মোবাইল ব্যবহার না করায় ক্লু পেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App