×

সারাদেশ

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৬,৬২০ টন কয়লা মোংলায়, চলছে খালাস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ০২:০৫ পিএম

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৬,৬২০ টন কয়লা মোংলায়, চলছে খালাস
বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে চীনের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি জে হ্যায়’। ২৬ হাজার ৬২০ টন কয়লা নিয়ে এমভি জে হ্যায় নামের জাহাজটি শনিবার ভোর ৫টায় চীনের পতাকাবাহী জাহাজটি বন্দরের হাড়বাড়ীয়ায় পৌঁছায়।এরপর মোংলা বন্দরে খালাস শুরু হয়। জাহাজ থেকে খালাস শেষে লাইটার জাহাজে করে এ কয়লা যাচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে। পরে সেখান থেকে তা সংরক্ষণ করা হচ্ছে কেন্দ্রটির গোডাউনে। কয়লা নিয়ে আসা জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক গণমাধ্যমকে জানান, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আমদানি করা ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা নিয়ে জাহাজটি গত ২১ মে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ইন্দোনেশিয়া থেকে ছেড়ে আসে। ১৯ দিনের মাথায় জাহাজটি শুক্রবার রাতে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ায় পৌঁছায়। সেখান থেকে জাহাজটি শনিবার ভোর ৫টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়ীয়ার-১১ নম্বর অ্যাংকোরেজে ভিড়েছে। এরপর সকাল থেকে শুরু হয়েছে কয়লা খালাস ও পরিবহনের কাজ। খালাস কয়লা ছোট নৌযানে (লাইটারেজ) করে নেওয়া হচ্ছে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এবং ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় তাপ বিদ্যুৎ করপোরেশনের (এনটিপিসি) মধ্যে বাগেরহাটের রামপালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে সমঝোতা হয়। এর দুই বছর পর ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি এনটিপিসির সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। তবে শুরু থেকেই সুন্দরবনের কাছে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন পরিবেশবাদীরা। এরপর কয়লা সংকটে কয়েকবার কেন্দ্র বন্ধ হয়েছিল। প্রতিদিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে প্রয়োজন হয় পাঁচ হাজার টন কয়লা। কয়লার অভাবে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App