×

সারাদেশ

অবশেষে ইমরানের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৩, ১১:৫০ এএম

অবশেষে ইমরানের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী

ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে ইমরানের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী
অবশেষে ইমরানের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী
অবশেষে ইমরানের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী

দীর্ঘ পাঁচ বছর অপেক্ষার পর পটুয়াখালী বাউফলের মো. ইমরান হোসেনের (২৫) সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ইন্দোনেশিয়ার তরুণী নিকি উল ফিয়া (২৩)।

বুধবার (১ মার্চ) রাত পৌনে আটটার দিকে বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের খাজুরবাড়িয়া গ্রামে ইমরানের বাড়িতে ইসলামি রীতিনীতি অনুয়ায়ী বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ১০১ টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়িয়েছেন মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম।

 

এর আগে বুধবার দুপুরে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিয়ের ঘোষণা দেন ইমরান ও নিকি। তাদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. শাহীন আলম সেরনিয়াবাত।

ইমরানের বাবার নাম দেলোয়ার হোসেন। মায়ের নাম মোছা. বীথি। দুই ভাইয়ের মধ্যে ইমরান বড়। ছোট ভাই মো. শান্ত হোসেন এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী। ইমরান উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

নিকি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা ইউলিয়ানতোর মেয়ে। তার মায়ের নাম স্রিআনি।

২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর বিয়ে করার জন্য ইমরানের কাছে এসেছিলেন ইন্দোনেশিয়ার তরুণী নিকি উল ফিয়া। তখন ইমরানের বিয়ের বয়স না হওয়ায় তাকে ফিরে যেতে হয়। পাঁচ বছর পর গত সোমবার আবারও বাংলাদেশে আসেন তিনি। বুধবার ভোরে ইমরানের বাড়িতে এসে পৌঁছান নিকি। এরপর দুজনে পটুয়াখালী আদালতে গিয়ে বিয়ে করার ঘোষণা দেন।

বিয়ে ঘিরে ইমরানের বাড়িতে কয়েক দিন ধরে চলছে উৎসব। তাদের দেখার জন্য আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় জমান। বিয়ের পর তাদের দুজনকে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা দেয়া হয়।

ইমরান বলেন, ২০১৬ সালে ফেসবুকে ইন্দোনেশিয়ার মেয়ে নিকির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর বন্ধুত্ব, একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। তার পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন নিকি উল ফিয়া। সেখান থেকে ইমরান নিকিকে তার বাউফলের বাড়িতে নিয়ে আসেন। তখন তার ২১ বয়স বছর না হওয়ায় বিয়ে করতে পারেননি। এ কারণে ফিরে যান নিকি।

ইমরানের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিকি চলে যাওয়ার পর আমার ছেলে ও আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে। আমাদের সঙ্গে ওর মা–বাবারও হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে নিয়মিত কথা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলেই বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি।

ইমরানের মা বলেন, আমার মেয়ে নেই। ছেলের বউকেই মেয়ের মতো আদর ও ভালোবাসা দেব।

বিয়ের পর অভিব্যক্তি জানতে চাইলে ইমরান ও নিকি বলেন, তারা খুবই আনন্দিত, যা বলে বোঝানো যাবে না। তারা দাম্পত্য জীবন সুখী ও সুন্দরভাবে কাটানোর জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App