বি এম ডিপোতে আরও চার কন্টেইনার রাসায়নিকের উপস্থিতি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২২, ০১:৪০ পিএম
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বি এম ডিপোতে আরও চারটি কন্টেইনারে রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ছবি: ভোরের কাগজ
বি এম ডিপোতে আরও চারটি কন্টেইনারে রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। কন্টেইনারগুলো নিরাপদে সরিয়ে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থায় কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষজ্ঞ টিম।
সোমবার (৬ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেড অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাংবাদিকদেরকে তিনি জানান, রাসায়নিক ভর্তি আরও চারটি কন্টেইনার শনাক্ত করা হয়েছে। এসব কন্টেইনার নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রাখতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষজ্ঞ টিম।
ডিপোর বিভিন্ন জায়গায় এখনও ধোঁয়া উঠছে। এ জন্য খুবই সতর্কতার সঙ্গে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসকে কাজ করতে হচ্ছে।
এদিকে বি এম কন্টেইনার ডিপোতে লাগা আগুন প্রায় ৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এখনও কনটেইনারে এখনও ধিকি ধিকি জ্বলছে আগুন। থেমে থেমে জ্বলে উঠছে আগুন। আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী সেখানে আবারও বিস্ফোরণের আশঙ্কায় সেখান থেকে সবাইকে বের করে দিতে দেখা যায়।
জ্বলন্ত কন্টেইনারগুলোর পাশে একটি কন্টেইনারে রাসায়নিক থাকতে পারে বলে অনুমান করছে ফায়ার সার্ভিস। এ কারণে সতর্কতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হচ্ছে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মো. ফখরুদ্দিন বলেন, বিভিন্ন কন্টেইনারে আগুন জ্বলছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার। আরও চারটি কন্টেইনারে রাসায়নিক আছে। তাই আমাদের সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ফের কন্টেইনার বিস্ফোরণের শঙ্কা সেনাবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের
এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকরা রয়েছে ডিপোর প্রধান ফটকে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত বিএম ডিপোকাণ্ডে ৪৯ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও চিকিৎসকদের আশঙ্কা সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, কন্টেইনার ডিপোটিতে ‘হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড’ নামে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক ছিল। হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড একটি রাসায়নিক যৌগ; উচ্চতাপে যা বিস্ফোরক হিসেবে কাজ করে। বিস্ফোরণে পুরো এলাকায় রাসায়নিকের বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। এতে উদ্ধারকর্মীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
আরও পড়ুন : সীতাকুণ্ডে নিহতদের মধ্যে ২২ জনের মরদেহ হস্তান্তর
এর আগে শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে কদমরসুল এলাকায় বি এম ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শতাধিক দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৫ জন।