×

সারাদেশ

ফের কন্টেইনার বিস্ফোরণের শঙ্কা সেনাবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২২, ১১:৫৭ এএম

ফের কন্টেইনার বিস্ফোরণের শঙ্কা সেনাবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বি এম কন্টেইনার ডিপোতে কিছুক্ষণ পর পর জ্বলে উঠছে আগুন। ছবি: ভোরের কাগজ

ফের কন্টেইনার বিস্ফোরণের শঙ্কা সেনাবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের

ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বি এম কন্টেইনার ডিপোতে লাগা আগুন প্রায় ৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কন্টেইনারে এখনও ধিকি ধিকি আগুন জ্বলছে। কিছুক্ষণ পর পর থেমে থেমে সেই আগুন জ্বলে উঠছে। আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী ফের বিস্ফোরণের আশঙ্কায় সেখান থেকে সবাইকে বের করে দিয়েছেন।

সোমবার (৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডিপোর ভিতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মো. ফখরুদ্দিন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন কন্টেইনারে আগুন জ্বলছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার। কোন কন্টেইনারে রাসায়নিক আছে তা বুঝতে না পারায় সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে আমাদের। তারপরও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, জ্বলন্ত কন্টেইনারগুলোর পাশে একটি কন্টেইনারে রাসায়নিক থাকতে পারে। এ কারণে সতর্কতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে তারা। ঘটনাস্থলে বোম ডিস্পোজাল ইউনিটের সদস্যরা রয়েছেন।

এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকরা রয়েছে ডিপোর প্রধান ফটকে।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত বিএম ডিপোকাণ্ডে ৪৯ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন, সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

[caption id="attachment_352998" align="aligncenter" width="700"] চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রাসায়নিক কারখানায় ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও আগুন নেভানো যায়নি। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, কন্টেইনার ডিপোটিতে ‘হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড’ নামে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক ছিল। হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড একটি রাসায়নিক যৌগ যা উচ্চতাপে বিস্ফোরক হিসেবে কাজ করে। যৌগটির বিস্ফোরণে পুরো এলাকায় রাসায়নিকের বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে উদ্ধারকর্মীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

এর আগে শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকায় বি এম ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শতাধিক দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৫ জন।

রবিবার থেকে পানি সরবারহসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে আগুন নেভানো ও উদ্ধার কাজে যোগ দেয় নৌবাহিনী।

নৌবাহিনীর বানৌজা ভাটিয়ারি ঘাঁটির অধিনায়ক কমান্ডার এনএএসএন নাদিরুজ্জামান বলেন, ফায়ার ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স ও জনবল নিয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। পাশাপাশি পানি সরবরাহ নিশ্চিত করছি।

এখনও নিখোঁজ তিন ফায়ারকর্মী

সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে বিএম কন্টেইনার ডিপোর বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের তিনজন কর্মীর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে ৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মনির হোসেন।

তিনি জানান, ডিপোর ভেতর এখনও একাধিক কন্টেইনারে রাসায়নিক থাকতে পারে। বিশেষ পদ্ধতিতে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। এজন্য অত্যাধুনিক কেমিক্যাল টেন্ডার আনা হয়েছে৷ ২০ জনের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী দল কাজ করছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App