×

ক্যারিয়ার

চবিতে অস্ত্রধারী ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মী শনাক্ত

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪১ এএম

চবিতে অস্ত্রধারী ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মী শনাক্ত

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদ ২০২২ সালে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আইন সম্পাদকের স্থান পান। তবে সভাপতির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি এরপরই ক্যাম্পাসে রেজাউলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

খালেদ মাসুদ বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মির্জা খবিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ইতিমধ্যে সংঘর্ষে জড়ানো ও সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় দুবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন তিনি । ২০২১ সালে ১৮ অক্টোবর এবং ২০২৩ এর ২২ জুন তাকে বহিষ্কার করা হয়। তবে মানবিক কারণে পরবর্তীতে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে কর্তৃপক্ষ।

ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে দায়ীদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। দায়ী ব্যক্তি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে যেন রেহাই না পান, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দফায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ সিক্সটি নাইন ও সিএফসি। সংঘর্ষে পুলিশের ৩ সদস্যসহ আহত হয় ২৯ জন। দুই দফায় চলা এ সংঘর্ষে অন্তত ৬০ নেতা-কর্মীকে রামদা হাতে দেখা গেছে। এর মধ্যে খালেদ মাসুদও ছিলেন। তাকে গত শুক্রবার বিকেলে সংঘর্ষ চলাকালে শাহ আমানত হলের সামনে রামদা হাতে দেখা গেছে। সংঘর্ষের সময় তোলা বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ, ছবি ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

জানতে চাইলে খালেদ মাসুদ প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তিনি সংঘর্ষের সময় হলের ভেতরে ছিলেন। এখন সিনিয়র হয়ে গেছেন, মারামারিতে আসেন না। জুনিয়ররা আসে।

খালেদ মাসুদের সাথে রামদা হাতে থাকা আরো ৭ নেতা-কর্মীকে একই প্রক্রিয়ায় শনাক্ত করেছেন গণমাধ্যম কর্মীরা। এরা হলেন সিএফসি গ্রুপের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক আরাফাত রায়হান, সিএফসির কর্মী যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মোহাম্মদ শামীম, একই বর্ষের দর্শন বিভাগের ইমন আহমেদ। সিক্সটি নাইন গ্রুপের মার্কেটিং বিভাগের স্নাতকোত্তরের আহমেদ অনিক, আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের চতুর্থ বর্ষের মেহেদী হাসান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের নাইম আরাফাত, অ্যাকাউন্টিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মোহাম্মদ হোসাইন। সিক্সটি নাইন গ্রুপের এই ৪ কর্মীই বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলে থাকেন। তাদের বৃহস্পতিবার রাতে শাহজালাল হলের সামনে ধারালো অস্ত্র হাতে দেখা গেছে। এরা সবাই সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামের অনুসারী বলে পরিচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর নূরুল আজিম শিকদার গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) একটি সভা হবে। এ সভায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা থাকবেন। সভা শেষে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষে বিভক্ত। একটি পক্ষ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান ও আরেকটি পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয়। এ দুটি পক্ষ আবার ১১টি গ্রুপে বিভক্ত। এর মধ্যে বিজয় ও সিএফসি মহিবুল হাসানের। আর বাকি ৯টি পক্ষ আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App