ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীর মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক দাবি শেখ ইনানের
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৪৩ পিএম
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঙ্গে শায়লা শিকদার। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর লালবাগের রসুলবাগের একটি বাসা থেকে শায়লা শিকদার (২২) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ইডেন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেত্রী ছিলেন।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। তিনি লিখেছেন, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি, ইডেন কলেজের মেধাবী ছাত্রী শায়লা শিকদারের লাশ পাওয়া গেছে নিজ বাসায়। তাকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার লাশ উদ্ধারের সময় নিজ রুমের দরজা খোলা ছিল।
শায়লা শিকদার ছাত্রলীগের সাহসী নেত্রী ছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পরও সে ফেসবুকে একটিভ ছিল। ফেসবুকে ভাংচুর, লুটপাটের বিপক্ষে পোস্ট শেয়ার করতো। শায়লা শিকদারের রহস্যময় মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। এই হত্যাকাণ্ডের যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে শায়লা শিকদারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মর্গে পাঠায় পুলিশ। লালবাগ থানার রসুলবাগ রোডের একটি বাড়ির ষষ্ঠ তলায় সাবলেট রুমে থাকতেন শায়লা। তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানার ধানখালি গ্রামের আল আমিন শিকদারের মেয়ে। কলাপাড়া থানার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অজয় কৃষ্ণ পাল বলেন, শায়লা লালবাগের রসুলবাগ রোডের একটি বাড়ির ষষ্ঠ তলায় সাবলেটে থাকতেন। গত ২৭ আগস্ট রাত ১১টার দিকে বাসায় যান তিনি। এরপর ২৮ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তার বান্ধবী খুশবু আক্তার ওই বাসায় গিয়ে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছেন শায়লা। পরে তার মাধ্যমে খবর পেয়ে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে ওই বাসায় পুলিশ যায়। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, ওই বান্ধবী জানিয়েছে, শায়লা ইডেন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং কলাপাড়া থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।