নবীনগরে বিয়েবাড়িতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৮০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২২, ০৪:৫৩ পিএম
আটককৃত আসামি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিয়েবাড়ির গেটের ডিজাইনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১২৭ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৮০০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকালে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ ভোরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন নাজিম আহম্মেদ (১৮) পিতা কবির হোসেন, হুমায়ুন মিয়া (৩৬), সবুজ মিয়া (২০), মো. রিপন (২২), ভূষণ সরকার (৩২), শাহীন (৩০), আব্দুল হাশেম (৪৫) প্রমুখ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার জেলার নবীনগর কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সীতারামপুর গ্রামের রিয়াজুদ্দিন গোষ্ঠীর রাজুর বাড়িতে বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছিল। সেখানে ডেকোরেশনের কাজ করেন দৌলতপুর গ্রামের হাসান আলী বাড়ির ছেলে। তবে গেটের ডিজাইন পছন্দ হয়নি বিয়েবাড়ির লোকজনের। এ নিয়ে ডেকোরেশনের দায়িত্বে থাকা ছেলেটির সঙ্গে তাদের বাগ্বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের গেটের ডিজাইন নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০এ ঘটনার জেরে পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর দৌলতপুর ও সীতারামপুর গ্রামের দুই যুবক মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় মধ্যরাত পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। এ সময় অনেক বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়।
নবীনগর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রশিদ ভোরের কাগজকে বলেন, বিয়েবাড়ির ঘটনায় বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক আছে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুই গ্রামের ১২৭ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭০০-৮০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশী অভিযান অব্যহত থাকবে।
ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন, অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রশিদ ও পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল আহমেদ।
এ ঘটনায় দুই গ্রামে পুরুষ শূন্য হয়ে গেছে। অজ্ঞাত প্রায় ৮০০ লোকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।